মিছিল শেষে একই জায়গায় বক্তব্য পেশ করেন দুই দলের নেতারা। বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বিমান বসু বলেন, "একদিকে তৃণমূলের দুর্নীতি অন্যদিকে কেন্দ্রের বঞ্চনা। ২০২৩ সালে বাজেটে কোনও অর্থ বরাদ্দ হয়নি৷ রাজ্যবাসীর বিরুদ্ধে এই বিদ্বেষকে ধিক্কার। আর যদি দুর্নীতি হয়ে থাকে তাঁর শাস্তির বিধান আছে। সে সব না করে রাজ্যের প্রতি বৈষম্য করছে। এটাও সত্যি মানুষের টাকার পাহাড় দেখার সৌভাগ্য হয়েছে তৃণমূলের সৌজন্যে। যা দুর্নীতি হয়েছে ব্যাপম কেলেঙ্কারির থেকে অনেক বড়। এর বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে হবে। তাই কেন্দ্রের বঞ্চনা এবং তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এই দুইয়ের বিরুদ্ধে যারা তাঁরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারে। কংগ্রেস এসেছে৷ দলের নেতা রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাকে বলে তানাসাহি। এর বিরুদ্ধে ধিক্কার।''
advertisement
আরও পড়ুন: শুধু স্ত্রী নন, পরিবারের ১৩ জনের সরকারি চাকরি, সুজনকে নিয়ে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ
বিমান বসুর সংযোজন, ''অনেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। তাঁদের বলি পঞ্চায়েত কেনও যে কোনও নির্বাচনে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে যারাই লড়াই করতে চান তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা লড়তে প্রস্তুত। তবে শৃঙ্খলা থাকতে হবে।"
আরও পড়ুন: সবজি আসছে কলকাতায়, ট্রেনেই মেশানো হচ্ছে 'স্লো-পয়জন'! ঘটনা জানলে খাবার ইচ্ছে চলে যাবে
কংগ্রেসের নেতা অসীত মিত্র বলেন, ''বামফ্রন্টের বন্ধুরা বলেছেন। আমরা এই লড়াই করতে চাইছি। আজ সেই স্লোগান উঠছিল। একই সঙ্গে বলব রাহুল গান্ধিকে যারা শেষ করতে চাইছে, আমরা বলব তাঁরা কোনও দিনই সফল হবে না। তাঁর কাজকে আমরা স্বার্থক করবই।"
মুখ্যমন্ত্রী মমমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজপথে ধরনায় বসেছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শহিদ মিনার ময়দানে সমাবেশ করছেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি শ্যামবাজারে পাল্টা ধরনা দিচ্ছে, সে দিনই শহরের অন্য দিকে একসঙ্গে পথে নামলেন বাম ও কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে দু’দলের কেন্দ্রীয় ভাবে যৌথ কর্মসূচি এই প্রথম। কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা আদায়ের দাবি, বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির প্রতিবাদের পাশাপাশি যৌথ মঞ্চ থেকে উঠল রাহুল গান্ধির সাংসদ-পদ খারিজের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধ স্বরও। আর সব মিলিয়ে একসঙ্গে পথ হেঁটে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সুরও বেঁধে দিলেন নেতৃত্ব। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।