কেন এই ধরনের গান বাঁধতে হল? রাহুল বলেন, "চোরের মায়ের বড় গলা যদি হয় আমাদেরও গান থাকবে। দুর্নীতিতে অভিযুক্তরা যদি সততার প্রতীক লেবেল লাগিয়ে ঘোরে তাহলে আমরাও প্যারোডি বানাবো। শুধুমাত্র অযোগ্যরা চাকরি পাচ্ছে তা নয়। অযোগ্যরা গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে রয়েছে। যে দিন অযোগ্যরা ওই পদ থেকে সরে যাবে, সে দিন অযোগ্যরা রাস্তায় বসবে, আর যোগ্যরা চাকরি পাবে। তখন 'আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে' গাইব। যতদিন ওদিকে গড়বড় থাকবে, এ দিকেও প্যারোডি চলতে থাকবে।"
advertisement
আরও পড়ুন: আজই আবহাওয়ার আমূল বদল, তছনছ করতে পারে কালবৈশাখী, 'এই' জেলাগুলিতে ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি...
নীলাব্জ জানিয়েছেন, "রাজ্যের মন্ত্রী তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সিবিআই তদন্ত করছে। একজন ট্রেন থেকে হঠাৎ করে ভ্যানিস হয়ে গেলেন। এরপরেও তাঁরা পদে বসে রয়েছেন। আমাদের রাজ্যের ভাবমূর্তি কোথায় যাচ্ছে? আমাদের কাছে অস্ত্র নেই, গান আছে। আর এই গান দিয়েই আমরা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাব। মানুষ যাদের ওপরে ভরসা করলেন। ভোট দিয়ে জেতালেন। সেই ভরসার দাম কী তাঁরা পেলেন?"
এর আগেও প্যারোডি করে নজর কেড়েছিলেন রাহুল, নীলাব্জ। বিধানসভা নির্বাচনের সময় সংযুক্ত মোর্চার ডাকে ব্রিগেড সমাবেশে বামেদের প্রথা ভেঙে জনপ্রিয় বাংলা গান 'টুম্পা সোনা'র প্যারডি বানিয়েছিলেন। এটা একদিকে যেমন জনপ্রিয় হয়েছিলো তেমনই এই গান নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। বিরোধীরা তো বটেই বামেদের অনেক নেতাও এই গানের সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও ভোটের প্রচারে সিপিএম প্রার্থী কান্তি গাঙ্গুলি-সহ আরে বেশ কয়কজনের প্রচারের জন্য গান বানানোর বরাত পেয়েছিলেন এরা। সিপিআইএমের অনেক কর্মসূচিতে গান করার ডাক পেয়েছেন। তারও পরে ধর্মঘটের সমর্থনে। কখনও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে, আবার পুরসভা নির্বাচন বা বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনেও প্যারোডি করেছেন। যেগুলি ভাইরাল হয়েছে। এ বার রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে নিয়ে ফের প্যারোডি করেছেন। যেটা নিয়ে ফের নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধতে চলেছে।
UJJAL ROY