শুধু তাই নয়, বিজেপি আরও অভিযোগ করেছেন, কোন কোন বুথের EVM এ কোনও নোটা (Nota)-র বোতাম ছিল না। প্রচুর বুথে বিজেপি একটিও ভোট পায়নি। এটা সম্ভব না, দাবি গেরুয়া শিবিরের।
এদিনের শুনানিতে BJP ও CPIM-এর তরফ থেকে EVM এবং পোলিং এজেন্টদের ডাইরি, প্রিসাইডিং অফিসারদের ডাইরিও সংরক্ষণ করার দাবি জানানো হয়েছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে সব বুথের সিসিটিভি ফুটেজ হাইকোর্টের জিম্মায় আনতে আবেদন করেছে সিপিএম ও বিজেপি। সিপিআইএম-এর আরও অভিযোগ, সিপিএম প্রার্থী আক্রান্ত হলেও কমিশন পদক্ষেপ করেনি। একটি বুথে তৃণমূল ১০০৯ ভোট আর বিরোধীরা শূন্য, কীভাবে এটা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: দলনেতা ফিরহাদ, ডেপুটি অতীন, কলকাতার নতুন মেয়র পারিষদ হলেন যাঁরা...
যদিও এদিন দলের নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''এত শান্তিপূর্ণ ভোট সারা দেশে কেউ করতে পারবে না। পুলিশ ভালো কাজ করেছে। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এসে ভোট করেও ১৬ জন আমাদের কর্মী মারা যায়। কিন্তু এবার তেমন কোন ঘটনাই ঘটেনি।''
আরও পড়ুন: মেয়র সেই ফিরহাদ, চেয়ারম্যান মালা রায়! কলকাতায় পুরনোতেই আস্থা মমতার
কলকাতা পুরসভা (KMC Election 2021) নির্বাচনে সন্ত্রাস থেকে ভোট লুঠের অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। যদিও রবিবার, ভোটের দিন কলকাতায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি হলেও ভোট শান্তিপূর্ণ বলেই জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রবিবার রাতে কমিশনের দফতরে গিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, গোটা কলকাতাতেই পুনর্নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু কলকাতায় যে আর পুনর্নির্বাচন হবে না, সোমবারই তা স্পষ্ট করে দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কারণ কমিশনের মতে, দু’একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া কলকাতার ভোট মোটের উপর শান্তিপূর্ণ। কলকাতা পুলিশের ভূমিকার প্রশংসাও করা হয়েছিল কমিশনের তরফে। আদালতে যদিও একজোট হয়ে সিপিআইএম ও বিজেপি লড়াই শুরু করল কলকাতার পুরভোট নিয়ে।