মঙ্গলবার কলকাতায় শেষ হয়েছে সিপিআইয়ের জাতীয় পরিষদের বৈঠক। তিনদিন ধরে দলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে সেখানে। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে নেতৃত্বের বয়স সম্পর্কে বলতে গিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা বলেন, 'এটা কোনও সরকারি বা কর্পোরেট চাকরি নয় যে বয়স বেঁধে দিতে হবে। কমিউনিস্ট পার্টিতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার আগে পর্যন্ত মানুষ কাজ করেন। তবে দলের মধ্যে আরও বেশি করে তরুণ ও মহিলাদের অন্তর্ভুক্তির কাজ চলবে দলকে শক্তিশালী করার জন্য।' আগামী দিনে দলকে শক্তিশালী করার জন্য লাগাতার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। দলের জাতীয় পরিষদের এক সদস্য জানান, ' রাজনীতি করার জন্য বয়স কোনও বাঁধা হতে পারে না। জয়প্রকাশ নারায়ণ আটাত্তর বছর বয়সে আন্দোলন করেছিলেন।'
advertisement
জেএনইউ-য়ের ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার বর্তামানে দেশের বামপন্থী আন্দোলনের 'পোস্টার বয়'। দলমত নির্বিশেষে যুব সম্প্রদায়ের কাছে জনপ্রিয়ও বটে। গত লোকসভা নির্বাচনে বিহারের বেগুসরাই থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছিল সিপিআই। নির্বাচনে পরাজিত হলেও তাঁর জনসমর্থনে ভাটা পরেনি। বরং সিএএ, এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। সেই সময় দলের এই অবস্থানে কিছুটা হলেও তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে অক্সিজেনের অভাব হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। তাঁদের মতে, সিএএ, এনআরসি বিরোধী আন্দোলন থেকে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা সফরের সময় মূলত ছাত্র-যুব সম্প্রদায়ের নেতাদের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ কর্মসূচি নজর কেড়েছিল। লড়াই আন্দোলন থেকে নির্বাচন সব জায়গাতেই তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বকে তুলে না ধরলে তাঁরা হতাস হবেন। যদিও বয়সের চাইতে দলীয় নেতাদের নীচুতলায় গিয়ে সংগঠন মজবুদ করার কাজে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছে দল। জাতীয় স্তর থেকে শাখা পর্যন্ত এই রণ কৌশলেরই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সিপিআই সূত্রে খবর।