গরুপাচার মামলায় তদন্তে সিআইডির নজরে এনামূল হকের তিন ভাগ্নে। জাহাঙ্গির আলম, হুমায়ূন কবীর এবং মেহেদি হাসান। তদন্ত চালিয়ে তাদের কোম্পানি থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য এখন সিআইডির হাতে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ কোম্পানি খুলে গরুপাচারের টাকা পাচার হয়েছে। একটি কোম্পানিতে মূলধন ৪৮ লক্ষ টাকা হলেও লেনদেন হয়েছে প্রায় ১৯৮ কোটি ৫১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮০২ টাকার। যা থেকেই গরু পাচারের টাকা সরিয়ে ফেরার রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে সিআইডি।
advertisement
আরও পড়ুন : ছটপুজোয় 'বিহারীবাবু কোথায়' পোস্টার আসানসোলে! নজিরবিহীন তোপ ছুঁড়লেন লকেট
সূত্রের খবর, পাঁচ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে, জেএইচএম ইমপোর্ট এক্সপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১৬-১৭ সালে এই সংস্থার মূলধন ছিল ৯ লক্ষ টাকা। কিন্তু লেনদেন হয়েছে ৮০ কোটি ৯২ লক্ষ ২২ হাজার ৮৯০টাকা। ২০১৯-২০ সালে এই সংস্থারই মূলধন ছিল ১ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা। সেখানে লেনদেন ৫৬ কোটি ৭৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৪৯৫ টাকা। এনামূলের তিন ভাগ্নের অন্য একটি সংস্থা জেএইইচএম লজিস্টিক প্রাইভেট লিমিটেড।২০১৬-১৭ সালে এই সংস্থার মূলধন ছিল ১০ লক্ষ টাকা। সেখানে ৫৯ কোটি ২৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮৩৬ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২০২০-২১ সালে মূলধন ছিল ২ কোটি টাকা। সেখানে টার্নওভার ১৯ কোটি ৭৩ লক্ষ ২০ হাজার ৩৫০ টাকা।
এনামূলের তিন ভাগ্নের আরেকটি কোম্পানি - জেএইচএম ওভারসিজ প্রাইভেট লিমিটেড২০১৭-১৮ সালে ওই সংস্থার মূলধন ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। সেখানে টার্নওভার ৯ কোটি ১ লক্ষ ১ হাজার ৩৩২ টাকা। ২০২০-২১ সালে সেই লেনদেনের অঙ্ক আরও ছাপিয়ে যায়। ওই বছর মূল ধন ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। কিন্তু লেনদেন ৩২ কোটি ৯৬ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩৫২ টাকাযেমন জেএইচএম রাইস মিল প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১৭-১৮ সালে এই সংস্থার মূলধন ছিল ৪৮ লক্ষ টাকা। সেখানে টার্নওভার ১৯৮ কোটি ৫১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮০২ টাকা। ২০২০-২১ সালে এই সংস্থারই মূলধন ছিল ৪ কোটি ৮০ লক্ষ, সেখানে লেনদেন ২০ কোটি ৬৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৯৮ টাকা।
সিআইডি সূত্রে খবর, ৫ সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে এনামূল হকের তিন ভাগ্নে জাহাঙ্গির, হুমায়ূন ও মেহেদির বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে চলেছে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা। সেখানে থাকতে পারে ধৃত জানেরুল শেখের নামও। সম্ভবত আগামী সপ্তাহে জঙ্গিপুর আদালতে চার্জশিট পেশ করবে সিআইডি।
অমিত সরকার