এখানেই শেষ নয়, জমি কিনে তাতে তৈরি হয়েছে চাল কল, দাবি সিআইডির। তদন্ত করতে গিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দফতরের দাবি, বাজার মূল্য থেকে কম দামে সেই সকল জমি কিনেছেন এনামুলের তিন ভাগ্নে। তারপর জেএইচএম গ্রুপের চাল কল খোলা হয়েছে। আর হিসেব যা বলছে তাতে গরু পাচারের লাভের টাকা কালো থেকে সাদা করা হয়েছে বলে দাবি সিআইডির।
advertisement
আরও পড়ুন : বিপর্যয়ের ২৪ দিন পার! তবু মেলেনি ক্ষতিপূরণের টাকা! বিক্ষোভে ধিকি ধিকি জ্বলছে বউবাজার
কী ভাবে কেনা হত জমি? সিআইডির এক কর্তার দাবি, এলাকার চাষিদের থেকে অধিকাংশ জমি কার্যত ভয় দেখিয়ে কেনা হয়েছে, সেই তথ্য হাতে এসেছে। তাতে জমির মালিকদের অনেককেই ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। মূলত প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের কর্মকাণ্ড চালিয়েছেলের তিন ভাই। সিআইডির আরও দাবি, তাদের দেওয়া চার্জশিট ও কেস ডায়েরিতে এনামুলের তিন ভাগ্নের জমি নিয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে জমির চরিত্র বদল নিয়েও তথ্য রয়েছে।
অভিযান চালিয়ে যে সমস্ত নথি বাজেয়াপ্ত করেছিল সিআইডি, তাতে ডিএল অ্যান্ড এলআরও অফিস থেকে দেওয়া জমির চরিত্র বদলের অনুমোদন সার্টিফিকেট রয়েছে। সেগুলি কেস ডায়েরিতে উল্লেখ বলেই সূত্রের খবর। এই জমিগুলো নিয়েই বিস্তারিত ভাবে সন্ধান শুরু করল সিআইডি। উল্লেখ্য পাঁচ সংস্থা ও দুটি ট্রাস্টের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অন্যত্র সরানোর অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে। এবার জুড়ল গরু পাচারের টাকা পাচারে জমিতে লগ্নির তথ্য।