সোমবার তলব করা হয় নিজামে। কোটি কোটি টাকার লেনদেন কী ভাবে চলত? ব্ল্যাক মানি হোয়াইট করার চেষ্টা? জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চায় সিবিআই। গরু পাচারে সিবিআইয়ের নজরে কলকাতার চারটি শেল কোম্পানি বা ভুয়ো সংস্থা। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে,কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে সিবিআই জানতে পারে গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে এই ভুয়ো কোম্পানি গুলোর মাধ্যমে।
advertisement
আরও পড়ুন: বঙ্গ রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দিলেন অনন্ত মহারাজ, তবে এক সুর তৃণমূল-বিজেপির!
এই কোম্পানিগুলোর ডিরেক্টর ও কর্তৃপক্ষদের ভূমিকা দেখে এবার তাদেরকে তলব নিজাম প্যালেসে। আরও এরকম ভুয়ো ২৫-৩০টি কোম্পানির সঙ্গে যোগ রয়েছে যার সঙ্গে কলকাতার ভুয়ো কোম্পানিগুলির যোগ রয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচার থেকে যে কোটি কোটি টাকা আসত সেই টাকা এই কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করা হত, দাবি সিবিআইয়ের।
আরও পড়ুন: তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত, হঠাৎ বদলে যাবে বাংলার আবহাওয়া! বড় পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
গরু পাচার মামলায় সিবিআই অনুব্রত মন্ডল ও তার দেহরক্ষী সায়গলকে গ্রেফতার করে কিছু মাস আগে। সেই মামলায় সায়গলকে ইডি দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পাশাপাশি অনুব্রত মন্ডলকেও পরবর্তী সময়ে ইডি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মন্ডলকেও সিএ মণীশ কোঠারিকেও তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সিবিআইয়ের আগে মণীশ কোঠারি ও সুকন্যা মন্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বোলপুরে।
অনুব্রত মন্ডলের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের রাইস মিল, সুকন্যার কোম্পানি, জমি, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, দলিল ইতিমধ্যে খতিয়ে দেখেছে সিবিআই। এবার সেই তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই খোঁজ পায় কলকাতার চারটি ভুয়ো বা শেল কোম্পানির। যার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। এর সঙ্গে আরও যোগ রয়েছে প্রায় ত্রিশটি কোম্পানি। গরু পাচারের টাকা কোথায় কোথায় গিয়েছে তা খতিয়ে দেখতে সিবিআই ও ইডি দু'পক্ষই তৎপর।