আরও পড়ুনঃ গরম মানেই লিচু! কিন্তু এরা ভুলেও মুখে তুলবেন না লিচু! নিমেষে শেষ জীবন…
এই প্রসঙ্গে নভি মুম্বইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালের জেনারেল মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. ভারত আগরওয়াল বলেন যে, এই পর্যায়ে কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী রয়েছে। এর জন্য ভ্যাকসিনকে অনেক ধন্যবাদ। আর আগের সংক্রমণ থেকে স্বাভাবিক ইমিউনিটিও সহায়ক হয়েছে।
advertisement
তাঁর বক্তব্য, JN.1-এর মতো নতুন ভ্যারিয়েন্টকে আপাতত খুবই মৃদু স্ট্রেন বলেই গণ্য করা হচ্ছে। আর ইতিমধ্যেই যে ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে – সে ভ্যাকসিন থেকেই হোক, স্বাভাবিক ভাবেই হোক কিংবা হাইব্রিডই হোক, তা কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে। বর্তমানে কোনও অতিরিক্ত অথবা ভ্যারিয়েন্ট-স্পেসিফিক বুস্টারের প্রয়োজন নেই। ইতিমধ্যেই যে ভ্যাকসিন নেওয়া হয়েছে, তা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে উদ্দেশ্য সাধন করবে। সেই সঙ্গে উপসর্গের তীব্রতাও হ্রাস করবে।তবে আগের মতো প্রাথমিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলি অবলম্বন করার উপরে জোর দিয়েছেন ডা. ভারত আগরওয়াল। এর মধ্যে অন্যতম হল – জনবহুল জায়গায় মাস্ক পরে থাকা, হাত পরিষ্কার রাখা ইত্যাদি।
নতুন ভ্যারিয়েন্ট থেকে অ্যান্টিবডিগুলি কি সুরক্ষা দেবে?
আগের কোভিড-১৯ সংক্রমণের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি প্রসঙ্গে ডা. আগরওয়াল ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন যে, এই ধরনের অ্যান্টিবডিগুলির ধীরে ধীরে অবনতি হয়। যা ইমিউন রেসপন্সের অত্যন্ত স্বাভাবিক অঙ্গ। তিনি আরও বলেন যে, যদিও এটা সম্পূর্ণ ভাবে লুপ্ত হয় না। আর তা দেহের প্রতিরক্ষা কৌশলকে সাহায্য করে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য কি আমরা মানসিক ভাবে প্রস্তুত?
এই সংক্রমণ আমাদের দেহকে দুর্বল করে দিয়েছে। তবে মনেও এর জেরে পড়েছে গভীর ছাপ। Journal of Family Medicine and Primary Care-এর এক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে, অতিমারীর কালে ভারতে বিশেষ করে শহরাঞ্চলে মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা বেশি পরিমাণে দেখা দিয়েছে। আবার বিশ্বব্যাপী পরিসংখ্য়ান তুলে ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে, কোভিড ছড়িয়ে পড়ার প্রথম বছরে উত্তেজনা এবং মানসিক অবসাদ ২৫ শতাংশ বেড়েছিল।