কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে তাই এই মক ড্রিলের ঘোষণা করা হয়েছিল। আজ একদিকে যখন দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মক ড্রিলে অংশ নিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন ঠিক তখনই শহরের বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতেও কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন হাসপাতালগুলো শীর্ষ আধিকারিকরা।
কলকাতার এম আর বাঙুর হাসপাতালে মক ড্রিলে অংশ নিলেন হাসপাতালের সুপার চিকিৎসক শিশির নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগণার CMOH চিকিৎসক মুক্তিসাধন মাইতি। হাসপাতালের পরিকাঠামো ঠিক কী পরিস্থিতিতে রয়েছে তা খতিয়ে দেখলেন তাঁরা। কোভিডের পরিস্থিতি ফের আগের মতো আকার ধারণ করলে যাতে পরিস্থিতি শীঘ্রই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় সেই কারণেই এই সেলফ অ্যাসেসমেন্ট করা হল বলে মত তাদের। বেডের সংখ্যা, বাইপ্যাপের মত লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম, অক্সিজেন প্লান্ট সব ঠিকঠাক রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখে নেন তাঁরা। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি রাখার কথা ভাবা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর তরফে।
advertisement
আরও পড়ুন : এ এক অন্য বড়দিন! বাগান বাড়ির 'চড়ুইভাতি'তে শুভশ্রীকে আদরে ভরিয়ে দিলেন রাজ
কোভিড পরিস্থিতি এখনও পর্যন্ত সংকটজনক না হলেও অদূর ভবিষ্যতে আগের তিনটি ঢেউয়ের মতোই যদি নতুন করে ফের একটি সংক্রমণের ঢেউ মোকাবিলা করতে হয়, সেক্ষেত্রে এই মক ড্রিল অনেকটাই কাজে দেবে এমনটাই মনে করছেন হাসপাতালের আধিকারিকরা। এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ইতিমধ্যেই ৫৮ টি কোভিড বেড প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ২৯ টি পুরুষ বেড, ১১ টি মহিলা বেড এবং ১৮ টি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে লোকবলও রয়েছে। কিন্তু কোনও কারণে যদি পরিস্থিতি অবনতি হয় তবে স্বাস্থ্যভবন এর তরফে যে অতিরিক্ত লোকবল পাঠানো হবে, সেটাও স্পষ্ট করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার CMOH।
আরও পড়ুন : ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রার পারদ! শহরে জাঁকিয়ে শীত পড়ছে কবে থেকে?
শুধুমাত্র শহর কলকাতাই নয় দক্ষিণ 24 পরগনার জেলা হাসপাতাল হওয়ার সুবাদে জেলার বিভিন্ন অংশের মানুষকে সঠিকভাবে কোভিডের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কোভিডের আগের তিনটি ঢেউ মোকাবিলা করার অভিজ্ঞতায় এবছর কিছুটা হলেও আগেই প্রস্তুতি সেরেই রাখছেন চিকিৎসকরা।