রবিবারের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬০ জন। এই সময়ের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। যদিও নতুন করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৩৪ জন।
পুজোর ভিড় থেকে সংক্রমণের তথ্য এখনও হাতে আসতে বেশ কিছুটা সময় বাকি, কিন্তু পুজোর আগে থেকেই গা ঘেঁষাঘেঁষি করে শপিংয়ের হুজুগই বাংলায় করোনার গ্রাফকে আবার ঠেলে তুলতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত বছর পুজোর পরও তেমনই ঘটেছিল। তবু গতবার থেকে শিক্ষা নেয়নি আমজনতা। সেপ্টেম্বরের শুরুর সঙ্গে অক্টোবরের শুরুর তুলনা টানলে দেখা যাচ্ছে, সারা বাংলার পজিটিভিটি রেট ১.৭৮ থেকে বেড়ে ১.৭৯ শতাংশ হয়েছে ঠিকই। কিন্তু জেলাভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা মিলেছে, ৩ শতাংশের বেশি পজিটিভিটি রেট, এমন জেলার সংখ্যা এক থেকে বেড়ে চার হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর পরই বড় ভাঙন? ফিরহাদের 'অ্যাপ্লিকেশন' মন্তব্যে তোলপাড় BJP-র অন্দরমহল!
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পুজোর কেনাকাটার ভিড়ই এই বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ী। এর সঙ্গে জুড়েছে মহালয়ার পর থেকেই প্যান্ডেল হপিংয়ের নেশা। চতুর্থী, পঞ্চমীতেই দেখা গিয়েছে ভিড় উপচে পড়ছে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, এই ধারা চলতে থাকলে কালীপুজোর আগেই পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। অনেকেই এ প্রসঙ্গে কেরলের প্রসঙ্গ টেনে আনছেন। 'ওনাম' উৎসবে গা ভাসিয়ে ভয়ানক পরিস্থিতির মুখে পড়েছে কেরল। সেই পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গেরও হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। বিশেষজ্ঞদের আরও চিন্তার কারণ, গত বছরের তুলনায় এ বার পুজোয় বিধিনিষেধের কড়াকড়ি অনেকটাই কম।
সেইসঙ্গে তৃতীয়া-চতুর্থীর মতো পঞ্চমীতেও শহরের মণ্ডপগুলোয় ভিড় জমিয়েছেন মাস্কবিহীন দর্শনার্থীরা। মাস্ক পরতে যে অনেকেরই অনীহা, তা প্রকাশ্যেই স্বীকার করে নিয়েছেন অনেকে। তাই আগামী মাসেই বাংলার কোভিড চিত্র কোথায় গিয়ে পৌঁছায়, সেটাই এখন দেখার।