TRENDING:

Covid 19: করোনায় মৃতের অঙ্গ চুরি হয়নি তো? চার মাস পরে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

Last Updated:

Covid 19: মৃতের শরীরের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আছে কিনা অথবা কোনও অঙ্গ বদলে ফেলা হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখবেন ময়নাতদন্তের এই বিশেষ দলের চিকিৎসকরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: চার মাস আগে কোভিডে (Covid 19) মৃত্যু হয়েছিল বরানগরের বাসিন্দা কাকলি সরকারের। চার মাস পরে ফের মৃতদেহের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (High Court)। মৃতের অঙ্গ চুরির অভিযোগেই এমন নির্দেশ হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের। ৩ সপ্তাহের মধ্যে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। সাগর দত্ত হাসপাতালে এখনও সংরক্ষিত রয়েছে মৃতদেহ।
advertisement

বরানগররে বাসিন্দা কাকলি সরকারের দেহ এখনও সংরক্ষিত রয়েছে। নীল রতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও এনআরএস হাসপাতালের ৩ জন চিকিৎসককে দিয়ে বিশেষ দল গঠন করে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। মৃতের শরীরের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আছে কিনা অথবা কোনও অঙ্গ বদলে ফেলা হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখবেন ময়নাতদন্তের এই বিশেষ দলের চিকিৎসকরা। উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘড়িয়া মিডল্যান্ড নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে সিআইডি বা অন্য তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবিতে মামলা হয় হাইকোর্টে। পাশাপাশি সরাসরি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ অর্থাৎ খুনের ধারায় মামলা শুরু করার আবেদন জানিয়ে মামলা করেন মৃতের ভাই জয়দীপ দাস।

advertisement

গত ২২ শে এপ্রিল ২০২১ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মিডল্যান্ড নার্সিংহোমে ভর্তি হন কাকলি সরকার। ২৫শে এপ্রিল সকালে মৃত্যুর খবর পান পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্য কাকলী দেবীর ভাই জয়দীপ দাস জানান, "মৃত্যুর আগে দিদি জানিয়েছিলেন যে নার্সিং হোমে অঙ্গ বিক্রির একটা বড় চক্র চলছে। তারও অঙ্গ - প্রত্যঙ্গ বিক্রির পরিকল্পনা করছে নার্সিংহোমে।" তাঁর আরও অভিযোগ, "২৪ এপ্রিল রাতে নার্সিং হোমের এক নার্স একটি ইনজেকশন দেন এবং কাকলি সরকারের মৃত্যু হয়। ওই মুহুর্তে দিদির অক্সিজেন খুব দরকার ছিলো। তা দেওয়া হলে দিদির প্রাণ বেঁচে যেতে পারতো।"

advertisement

আরও পড়ুন- রাজ্যজুড়ে রক্ত সংকট! করোনাকালে রক্তদান শিবিরে অনীহা, চূড়ান্ত সমস্যায় থ্যালাসেমিয়া রোগীরা...

জয়দীপ দাসের অভিযোগ, ২ জন চিকিৎসকের ভূমিকা অত্যন্ত সন্দেহজনক। একজন নার্সিং হোমের স্বাস্থ্যকর্মীর ভূমিকাও গোলমেলে। গাফিলতির অভিযোগ এনে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয় পরিবার। পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয় কমিশন। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে সিআইডি বা অন্য তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত বিবেচনা করবে আদালত।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
১,২ নয়, গুণে গুণে ২২! এতগুলি বিড়ালের সঙ্গেই সংসার, রোজ কত খরচ হয় জানেন?
আরও দেখুন

Arnab Hazra

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Covid 19: করোনায় মৃতের অঙ্গ চুরি হয়নি তো? চার মাস পরে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল