বরানগররে বাসিন্দা কাকলি সরকারের দেহ এখনও সংরক্ষিত রয়েছে। নীল রতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও এনআরএস হাসপাতালের ৩ জন চিকিৎসককে দিয়ে বিশেষ দল গঠন করে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। মৃতের শরীরের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আছে কিনা অথবা কোনও অঙ্গ বদলে ফেলা হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখবেন ময়নাতদন্তের এই বিশেষ দলের চিকিৎসকরা। উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘড়িয়া মিডল্যান্ড নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে সিআইডি বা অন্য তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবিতে মামলা হয় হাইকোর্টে। পাশাপাশি সরাসরি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ অর্থাৎ খুনের ধারায় মামলা শুরু করার আবেদন জানিয়ে মামলা করেন মৃতের ভাই জয়দীপ দাস।
advertisement
গত ২২ শে এপ্রিল ২০২১ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মিডল্যান্ড নার্সিংহোমে ভর্তি হন কাকলি সরকার। ২৫শে এপ্রিল সকালে মৃত্যুর খবর পান পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্য কাকলী দেবীর ভাই জয়দীপ দাস জানান, "মৃত্যুর আগে দিদি জানিয়েছিলেন যে নার্সিং হোমে অঙ্গ বিক্রির একটা বড় চক্র চলছে। তারও অঙ্গ - প্রত্যঙ্গ বিক্রির পরিকল্পনা করছে নার্সিংহোমে।" তাঁর আরও অভিযোগ, "২৪ এপ্রিল রাতে নার্সিং হোমের এক নার্স একটি ইনজেকশন দেন এবং কাকলি সরকারের মৃত্যু হয়। ওই মুহুর্তে দিদির অক্সিজেন খুব দরকার ছিলো। তা দেওয়া হলে দিদির প্রাণ বেঁচে যেতে পারতো।"
জয়দীপ দাসের অভিযোগ, ২ জন চিকিৎসকের ভূমিকা অত্যন্ত সন্দেহজনক। একজন নার্সিং হোমের স্বাস্থ্যকর্মীর ভূমিকাও গোলমেলে। গাফিলতির অভিযোগ এনে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয় পরিবার। পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয় কমিশন। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে সিআইডি বা অন্য তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত বিবেচনা করবে আদালত।
Arnab Hazra
