কালনা পুরসভার পুরপ্রধান আনন্দ দত্তকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হল রিনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গুসকরা পুরসভার উপপুরপ্রধান বেলি বেগমকে সরিয়ে সাধনা কোনারকে নতুন উপপুরপ্রধান করা হয়েছে। তবে পুরপ্রধান পদে কুশল মুখোপাধ্যায় বহাল রয়েছেন। দাঁইহাট পুরসভায় পুরপ্রধান পদে প্রদীপ রায়কে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সমর সাহাকে। উপপুরপ্রধান থাকছেন অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়।উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি টাউন, ওল্ড মালদা, রায়গঞ্জ, মাল, কালিয়াগঞ্জ, ডালখোলার মত একাধিক পুরয়াভায় বদল আনা হয়েছে।
advertisement
দক্ষিণেও একাধিক পুরসভা ও করপোরেশনে বদল আনা হয়েছে। গত মাসে হাওড়া পুরসভার পুর প্রশাসকের পদত্যাগের পরে। গোটা রাজ্যের একাধিক পুরসভায় চাঞ্চল্য। পারফরম্যান্স অনুযায়ী কি পদে বহাল থাকবেন তারা? ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের ফলাফল অনুযায়ী ৫১ পুরসভায় এগিয়ে ছিল তৃণমূল, ২’টিতে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস আর ৬৯ পুরসভায় এগিয়ে ছিল বিজেপি। গত কয়েকমাস ধরে পুরস্তরে নানা রকম সমীক্ষা চালিয়েছে শাসক দল। তার ভিত্তিতেই যোগ্যতম ব্যক্তির খোঁজ করছে শাসক দল।
গ্রামাঞ্চলে সাধারণ মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্যাপক ভোট দিল, সেই দল পুর অঞ্চলে কেন ভোট পেল না? তার ময়নাতদন্ত শুরু করে দল।এর প্রেক্ষিতেই চেয়ারম্যান, কোথাও ভাইস চেয়ারম্যান, কোথাও উভয়কেই সরানোর সিদ্ধান্ত শুরু হতে পারে আগামী সপ্তাহ থেকেই।এক্ষেত্রে পারফরম্যান্সকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে – জনসংযোগ, নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার ক্ষমতা ও দলের অন্দরে তার ভূমিকা এই মাপকাঠিতেই বিচার হচ্ছে। সূত্রের খবর নিজে থেকেই ইস্তফা দিতে বলা হবে। না দিলে সরানো হবে। বর্তমান অবস্থায় এই নিয়ে কোনও হইচই না করে নীরবে সেরে ফেলতে চায় শীর্ষ নেতৃত্ব। সামনে বিধানসভা ভোট। তার আগে এর আগেই এই পরিবর্তন সেরে ফেলতে চায় তৃণমূল।
