গত ২৬ জানুয়ারি রবিবার সন্ধেয় বেলেঘাটা সিআইটি রোডের ফ্ল্যাট থেকে শিশুকন্যা অপহরণ হয়েছে বলে প্রথমে দাবি তোলে মা ৷ সেই মতো পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ ঘেঁটে অভিযুক্তের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু তদন্ত এগোতেই আদৌ অপহরণ হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ বাড়তে থাকে পুলিশের। সন্ধ্যা পুলিশকে যা বয়ান দিয়েছিল তার সঙ্গে বাস্তবের মিল পাচ্ছিলেন না তদন্তকারী অফিসাররা। সন্দেহ তার দিকেই এগোচ্ছিল কারণ সন্ধ্যা পুলিশকে জানিয়েছিল, অপহরণকারী দেওয়ালে তার মাথা ঠুকে দিয়েছিল। চশমা পরা অবস্থায় দেওয়ালে মাথা ঠুকলে সেটি ভেঙে যাওয়ার কথা ৷ কিন্তু সন্ধ্যার চশমায় কোনও দাগ পর্যন্ত ছিল না। এরপর তাকে চেপে ধরতেই সন্তানকে খুনের কথা স্বীকার করে সন্ধ্যা। জানায়, তদন্তের মোড় ঘোরাতেই অপহরণের মিথ্যা নাটক করেছিল।
advertisement
এরপর সন্ধ্যাই পুলিশকে দেখিয়ে দেয় কীভাবে সন্তানকে খুন করে দেহ ফেলে দিয়েছে সে। তারপর আবাসনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার হয় দু'মাসের সন্তানের দেহ। মানসিক সমস্যার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করে পুলিশ। যদিও এর পিছনে সন্ধ্যার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা উঠে আসছিল ৷
পরে পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, খুনি মায়ের সঙ্গে হরিয়ানার যুবকের সম্পর্ক ছিল। তার সঙ্গে যোগসাজগ করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে কিনা তা জানতে চাইছে পুলিশ ৷ ওই শিশুসন্তানের বাবা কে তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷ DNA পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে ৷