এনআইএ আইনজীবী শ্যামল ঘোষ জানান, দেশদ্রোহিতা, অস্ত্র আইনের একাধিক ধারাতে মুসাকে দোষী সাবস্ত করে আদালত। দেশের মধ্যে ইসলামিক স্টেট বা আইএস মডিউলের কাজে নিজেকে যুক্ত করেছিল বীরভূমের লাভপুরের বিডিও পাড়ার বাসিন্দা মুসা। তদন্তে একাধিক চ্যাট পাওয়া যায়। গোয়েন্দাদের দাবি ছিল, সিরিয়ার আইএস জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতা সফি আরমারের নিয়মিত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে কথা হত বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। মূলত দেশ ও এরাজ্যে বাছাই করে বেশ কয়েকজনের মাথা কেটে খুনের পরিকল্পনা করেছিল মুসা, সেই সকল তথ্যও পান তদন্তকারীরা, দাবি আইনজীবীর।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তুমুল ঝড়-বৃষ্টি জেলায় জেলায়, দুর্যোগের মুহূর্তে বাড়িতে থাকুন, সতর্কতা...
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে বর্ধমান স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয় মুসাকে। গ্রেফতারের পরে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিআইডি। সেই সময় চেন্নাই থেকে ট্রেনে চেপে হাওড়ায় আসে মুসাউদ্দিন। তার পর ধর্মতলায় গিয়ে ধারাল অস্ত্র কেনে। এর পর সে হাওড়া স্টেশন থেকে আপ বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জারে চড়ে। কলকাতা পুলিসের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বর্ধমান রেল পুলিশের সাহায্য নিয়ে বর্ধমান স্টেশনে তাকে আটক করা হয়। বর্ধমান জিআরপি থানায় তাকে রাতভর জেরা করে বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এবং সিআইডি-র অফিসারেরা। তারপরেই গ্রেফতার করা মুসাকে। পরবর্তীতে তাকে হেফাজতে নেয় এনআইএ।
ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার মারফত বাংলাদেশের সন্দেহভাজন দু’জন জঙ্গির যোগ ছিল বলেও তদন্তে পায় এনআইএ। এমনকি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দিদশা কাটানোর সময় ওয়ার্ডেনকে মারধর করা, আদালত কক্ষে অসভ্যতার কর্মকান্ড রয়েছে মুসা। এ বার সেই মুসাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিল আদালত। তবে সাজা শোনার পর কোনও অনুশোচনা ছিল না বলেই দাবি এনআইএ আইনজীবীর।
AMIT SARKAR