পরিবেশবান্ধব: দূষণ কমাতে বিশেষভাবে কার্যকর।
সুরক্ষা ও আরাম: শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্লাসে ৩০ জন এবং সাধারণ ক্লাসে ৬০ জন যাত্রীর স্থান।
উন্নত পরিষেবা: গঙ্গায় এই ধরনের পরিবহণ ব্যবস্থা দেশের আর কোথাও নেই।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: রাজ্য সরকার আরও ১২টি ই-ভেসেল এবং ১২টি ই-বার্জ চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ই-ভেসেলটিতে এসি এবং নন এসি দুটি বিভাগই থাকছে। মিলেনিয়াম পার্ক থেকে বেলুড় মঠ হয়ে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যাবে এই ভেসেলটি। পরিবহণ দফতরের এক কর্তার কথায়, ইলেক্ট্রিক ব্যাটারি চালিত এই ভেসেল দু ঘণ্টা পর্যন্ত বা ৩০ কিমি পথ একটানা চলতে পারবে। এই মুহূর্তে রাজ্যে রয়েছে ৩৭ টি ডিজেল চালিত লঞ্চ। পরিবহণ দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দিন রাজ্যে ডিজেল চালিত লঞ্চ কমিয়ে বিদ্যুৎচালিত ভেসেল বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যে সরকারের। এর ফলে পরিবেশ দূষণও কম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘পরিবেশ দূষণ কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে বিদ্যুৎ চালিত এই ভেসেল। যার জেরে যাত্রীরা যেমন আরও বেশি সুরক্ষিত হবেন, ঠিক তেমনভাবেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করবেন যাত্রায়’। এই ভেসেল বানাতে রাজ্যের খরচ হয়েছে ছয় কোটি টাকা। এই গ্রিন ভেসেল বা দূষণ মুক্ত জলযান ধীরে ধীরে ব্যবহার করবে রাজ্য। বর্তমানে যে ধরনের ভেসেল চালানো হয় তা পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। ইলেকট্রিক ভেসেল বা ফেরি ব্যবহার করা যাবে জাতীয় জলপথ ১ বা হলদিয়া-বারানসী জলপথেও। প্রতি ঘণ্টায় ২১০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই ভেসেল। ভেসেলটি সম্পূর্ণভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। ২৪ মিটার দীর্ঘ। প্রায় ১৫০ জন যাত্রীর বসার ব্যবস্থা আছে এই ভেসেলেই। এছাড়া সোলার প্যানেল বসানো থাকবে৷ সেখান থেকেও শক্তি সঞ্চয় করতে পারবে এই ই-ভেসেল। এই ইলেকট্রিক ভেসেলের গতি ৮ নট। সর্বোচ্চ গতি ১০ নট পর্যন্ত।এই ইলেকট্রিক ভেসেলের নকশা তৈরি করেছে জিআরএসই’র ইঞ্জিনিয়াররা।
জি আর এস ই’র আধিকারিকরা জানিয়েছেন, “এই প্রকল্প জলযান চলাচলে একটা বিপ্লব নিয়ে আসবে। দেশ চেষ্টা করছে সবদিক থেকে দূষণ রোধ করার। কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানোর চেষ্টা চলছে সব দিক থেকে। এই জলযান যাত্রী পরিবহণ শুরু করলে মানুষের গণ পরিবহণ সংক্রান্ত ধারণা সম্পূর্ণ বদলে যাবে।”