#কলকাতা: কলকাতার এজরা স্ট্রিট এবং ক্যানিং স্ট্রিটে প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি হচ্ছে। এজরা স্ট্রিটের একটি দোকানে নকল স্যানিটাইজার বানিয়ে ভুয়া কোম্পানির লেবেল সাটার অভিযোগ ছিল আগে থেকেই। এমনকি ওই দোকান থেকে বিভিন্ন কোম্পানির লেবেল বিক্রি হত। যেখানে প্রস্তুতকারকের ঠিকানা ছিল ভিন রাজ্যের। সেই দোকানে আজ হানা দিল কলকাতা পুলিশের এনফর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। হানা দিয়ে ৩৬০ লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সঙ্গে বেশ কিছু ভুয়ো কোম্পানির কাগজের লেবেল উদ্ধার করেছে। এই স্যানিটাইজার গুলো প্রকৃত স্যানিটাইজার কিনা সেটা পরীক্ষার জন্য পাঠাবে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ, বললেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর যুগলকিশোর বাবু।
advertisement
দোকানদার আশীষ যাদব দীর্ঘদিন ধরে এই করবার চালিয়ে যাচ্ছেন এজরা স্ট্রিটে । তিনি দাবি করেন, তাঁর এই লেবেল অন্য জন এসে দিয়ে যায়। তবে কারও নাম বলতে চাননি উনি। তবে গোডাউনের ভেতরে হানা দিয়ে প্রচুর পাঁচ লিটারের স্যানিটাইজার, খালি বোতল, স্টিকার উদ্ধার করা হয়েছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার বড়বাজার এলাকার বিভিন্ন অলি গলিতে কুটির শিল্পের মতো তৈরি হচ্ছে। কেউ জলের সঙ্গে মেশাচ্ছে পিপারমিন্ট এবং রং। আবার কেউ জলের সঙ্গে কিছুটা পরিমাণে অ্যালকোহল ও রং মিশিয়ে তৈরি করছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এই লেবেলে আবার লেখা রয়েছে হু' দ্বারা অনুমোদিত।
শহরে যে ভাবে করোনা সংক্রমণ দফতরের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। ক্যানিং স্ট্রিট থেকে এজরা স্ট্রিট কিংবা বন ফিল্ড লেন সমস্ত জায়গাতে একশো কুড়ি টাকায় পাঁচ লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে। প্রশ্ন কিভাবে এতদিন ধরে চলছে এই কারবার? তাহলে সত্যি এতদিন ব্যবহারকারীদের সঠিক স্যানিটাইজ হয়নি! ক্যানিং স্ট্রিটে সকালবেলা গেলে দেখা যায়, রাস্তার ওপর বসে স্যানিটাইজারের স্টিকার লাগাচ্ছে। এনফোর্সমেনটের অফিসারদের মাথায় হাত। তাঁরা কী ভাবে তৎক্ষণাৎ প্রমাণ করবেন ওই স্যানিটাইজার দু’নম্বরী। বোঝার আগেই অপরাধীরা দোকান বন্ধ করে পালিয়েছে।