TRENDING:

মেটিয়াব্রুজের ফতেপুর শুনশান পৌরপিতার ছেলের মৃত্যুতে

Last Updated:

শনিবার রাত এগারোটা পনেরোর কিছু সময় পরেই হঠাৎ জানা যায় কাউন্সিলরের ছেলে পিন্টু আত্মহত্যা করেছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: কলকাতা পুরসভার ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রনজিৎ শীলের ছেলের মৃত্যুতে দিনভর বাক্যহারা এলাকা বাসিন্দারা। শনিবার রাতে মৃত্যু হলেও রবিবার সূর্যের আলো চওড়া হতেই দিনভর আলোচনা কেন্দ্র রইলেন কাউন্সিলর রনজিৎ শীল।
Councillor's son's death area is deep sorrow in Metiaburz
Councillor's son's death area is deep sorrow in Metiaburz
advertisement

শনিবার রাত এগারোটা পনেরোর কিছু সময় পরেই হঠাৎ জানা যায় কাউন্সিলরের ছেলে পিন্টু আত্মহত্যা করেছে। প্রথমে এই কথা গুরুত্ব না দেওয়া হলেও জানা যায় ডগ বেল্ট জাতীয় কিছু একটির সাহায্য নিয়ে গলায় দাড়ি দিয়েছে পিন্টু। স্থানীয় বাসিন্দাদের কানে এই খবর পৌছাতেই ফতেপুর ২য় লেনে পৌঁছে যান স্থানীয় প্রায় সকলেই। ঘরের দরজা খোলা থাকায় দেখা যায় কাউন্সিলর রনজিৎ শীলের ছেলে পিন্টু শীল ঝুলন্ত অবস্থায়।

advertisement

প্রাথমিক অনুমান বছর তেত্তিশ এর পিন্টু শীল আত্মহত্যা করেছেন, তবে আদতে কিভাবে মৃত্যু তা জানা যাবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের পরেই। স্থানীয় বাসিন্দারা পিন্টুর অফিসে ঝুলন্ত অবস্থা দেখে মোমিনপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্ত চিকিৎসক পিন্টু শীল মারা গেছেন বলে জানান। ঘটনাস্থলে তার মধ্যেই পৌঁছে যায় মেটিয়াব্রুজ থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন -  Weather Alert: হু হু করে হাওয়া, প্রবল বৃষ্টিতে জনজীবনের অবস্থা নাজেহাল, এরই মধ্যে ফের তৈরি হচ্ছে নতুন নিম্নচাপ

advertisement

এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মর্গে দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। পুলিশ সূত্রে খবর কোন সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি ঘটনাস্থল থেকে। পেশায় কনস্ট্রাকশনের সঙ্গে যুক্ত ছিল পিন্টু। এই ঘটনার পরে থানার তদন্তকারী আধিকারিক বাড়ির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন ঘটনার নেপথ্য কারণ খোঁজার জন্য। যদিও পরিবারের  পক্ষ থেকে ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পিন্টু শীলের বাবা রনজিৎ শীলের বক্তব্য, ‘‘বিয়ের পর থেকেই ছেলে আলাদা থাকত তবে কোন গন্ডগোল বা অশান্তি হয়নি। ছোট ছেলের আগেই মৃত্যু হয়েছে, এবার বড় ছেলের মৃত্যুতে কষ্ট আরও বেড়ে গেল।’’

advertisement

আরও পড়ুন -  Divorce Party: ডিভোর্স হয়েছে তো কি! এবার হবে পার্টি, তাই নিমন্ত্রণ পত্র ছাপিয়েই পার্টি, ভাইরাল

স্থানীয় এক বাসিন্দার বক্তব্য, ‘‘শনিবার রাতে দেখা করার হয়েছিল কিন্তু তখনও বোঝা যায়নি এই ঘটনা ঘটাবে পিন্টু। ওর স্ত্রী এর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হত সামান্য পরিমাণে, শনিবার রাতে হলেও মৃত্যু কি কারণ বলা অসম্ভব।’’ যদিও কিভাবে মৃত্যু ও নেপথ্যে কি রহস্য তা মেটিয়াব্রুজ থানা তদন্তেই স্পষ্ট হবে। থানা দেহ উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গেই অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

advertisement

রবিবার এই খবর জানাজানি হতেই তৃণমূল কাউন্সিলর ও বোরো চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে আসেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ও বন্দর এলাকার বিধায়ক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানান, ‘‘কেন এই ডিপ্রেশন জানা নেই তবে কি যে হল তা সত্যি ভেবে খারাপ লাগছে। তরুন প্রজন্মের এই হাল হল সত্যি দুঃখজনক বিষয়। পারিবারিক বা ব্যাবসা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা নেই, শনিবারও বাবার সঙ্গে কাজ করেছে পিন্টু।’’ দিনভর রনজিৎ শীলের বাড়ির সামনে দলীয় সমর্থক উপস্থিত থাকলেও চোখে মুখে শোকের ছাপ।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

Susovan Bhattacharjee

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
মেটিয়াব্রুজের ফতেপুর শুনশান পৌরপিতার ছেলের মৃত্যুতে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল