কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশে পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপরে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট প্রয়োগ করা হয়। কেরলের রাস্তাতেও বাইক আরোহীদের ওপরে প্রয়োগ হয় এই রাসায়নিক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই রাসায়নিক ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এই রাসায়নিক মানুষের শরীরের সংস্পর্শে আসলে একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। বাজারে এই স্যানিটাইজ টানেল তৈরি করার মুল উদ্দেশ্য ছিল, যাতে জামাকাপড়ে লেগে থাকা জীবাণু থেকে কোনও সংক্রমণ না ছড়াতে পারে। কিন্তু এই রাসায়নিক শরীরের সংস্পর্শে আসলে প্রথমে চুলকানি, তারপর বমি ও ঝিমুনি ভাব চলে আসবে। যদি গলায় প্রবেশ করে তাহলে তা মিউকাস মেমব্রেনের সমস্যা তৈরি করবে। এমনকি বহু ক্ষেত্রে শিশু থেকে বয়স্ক তাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যেতে পারে।
advertisement
কলকাতায় হগ মারকেট, জগুবাবুর বাজার, রামগড় বাজার সহ একাধিক বাজারে সংক্রমণ ঠেকাতে টানেল বসানো হয়েছে। যে সংস্থা এই টানেল তৈরি করছে তারা জানাচ্ছে, সংক্রমণ রুখতে তারা সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট ব্যবহার করছে না। টানেলে জলের সাথে মাত্র ৩ শতাংশ হাইড্রোজেন পারক্সাইড আছে। তবে সাবধানতার জন্য মাস্ক ও শরীর ঢাকা পোশাক ব্যবহার করতে বলছেন তারা। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, "সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট থেকে ত্বক ও ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে। তাই প্রথমেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে সব টানেলে এই সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট ব্যবহার করা হচ্ছে তা ব্যবহার করা হবে না।" প্রয়োজনে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ আধিকারিকদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলা হবে। রাস্তা বা হাসপাতাল বা অফিসে যে সমস্ত স্যানিটাইজেশন চলছে সেখানেও সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছে।
ABIR GHOSHAL