অত্যাবশকীয় পণ্য পরিবহণের জন্য স্বাভাবিক রয়েছে কলকাতা ও হলদিয়া বন্দর। বন্দর সূত্রে খবর, গত তিনদিনে কলকাতা ও হলদিয়া দুটি বন্দরেই একাধিক পণ্যবাহী জাহাজ ঢুকছে ও পণ্য খালাস করে বেরিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জাহাজ আসা যাওয়ার সংখ্যা বন্দরে বেশ আশাপ্রদ বলে জানাচ্ছেন বন্দরের আধিকারিকরা। তবে পণ্যবাহী জাহাজের নাবিক সহ সমস্ত ক্রু'দের বেশ কয়েক দফা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরেই বন্দরের কাছাকাছি আসার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
advertisement
লকডাউন ঘোষণার পরে গত তিনদিনে কলকাতা বন্দরে ১৮টি জাহাজ এসেছে ও ৮টি জাহাজ বেরিয়ে গেছে। হলদিয়া বন্দরে ৯ টি জাহাজ এসেছে ও ৭ টি জাহাজ বেরিয়ে চলে গেছে। কলকাতা বন্দরে ৫টি জাহাজ পণ্য ওঠানো নামানোর কাজ করছে আর হলদিয়া বন্দরে ৯টি জাহাজ পণ্য ওঠানো নামানোর কাজ করছে।
বন্দর চেয়ারম্যান বিনীত কুমার জানিয়েছেন, "বন্দরের তরফে সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের সাথে প্রতিনিয়ত আলোচনা চলছে। প্রত্যেকে বন্দর স্বাভাবিক করতে সাহায্য করেছেন।" অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে জাহাজ আসলেই নাবিক সহ তাদের সমস্ত ক্রু'দের পরীক্ষা করা হচ্ছে। তারপর সেই জাহাজকে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হচ্ছে। শেষ যে বন্দর থেকে জাহাজ ছেড়েছে সেখান থেকে ১৪ দিনের সময় কষা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই বন্দরের মধ্যে ৩টি স্বাস্থ্য ক্লিনিক খোলা হয়েছে। এই কদিনে কলকাতা বন্দরে যে জাহাজগুলি এসেছে তাতে বেশিরভাগই পণ্যবাহী কন্টেনার। বন্দরের দেওয়া তথ্য ৩১৮১টি কন্টেনার জাহাজ থেকে নামানো হয়েছে। হলদিয়া বন্দরে বাল্ক কার্গো সবচেয়ে বেশি নিয়ে আসা হয়েছে। লকডাউন পরিস্থিতিতেও হলদিয়া বন্দরে ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৫০৬ টন পণ্য নেমেছে। এরমধ্যে এলপিজি,কয়লা, লোহা আকরিক, হাই স্পিড ডিজেল, ফ্লাই অ্যাশ ও ভোজ্য তেল আছে। এর বেশিরভাগই ব্যবহার হবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য। এছাড়া সিমেন্ট ও ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল যাবে এই বন্দর থেকে। অন্যদিকে কলকাতা বন্দরে ২৭০০ টন পণ্য আনা হয়েছে। ১৬১২২ টন তরল পণ্য নিয়ে আসা হয়েছে।
বন্দরের কাজকর্ম যাতে স্বাভাবিক থাকে তা নিয়ে প্রতিদিনই বৈঠক করেছেন বন্দর চেয়ারম্যান। ভিডিও কনফারেন্স করে প্রতিটি বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।তবে এখনও অবধি নাবিকদের বন্দরে নামার জন্য শোর সারটিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না। বন্ধ রাখা হয়েছে যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল।
ABIR GHOSHAL