প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ রাজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে। তারপর টানা এতদিন একের পর এক করোনা ঢেউয়ে দাপিয়ে বেড়ায় মারণ এই ভাইরাস, কখনও বা সংখ্যাটা নেমেছে তলানিতে। সম্প্রতি প্রতিদিনই অল্প হলেও কেউ না কেউ করোনা আক্রান্ত হচ্ছিলেনই। প্রায় দু’ বছর ৯ মাস পরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য হল এই রাজ্যে। রবিবারের স্বাস্থ্য দফতরের করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা টেস্ট হয়েছে ১ হাজার ৬৪৪ জনের। এনাদের কেউ করোনা আক্রান্ত নন। সুস্থতার হার ৯৮.৯৮ শতাংশ। হাসপাতালে রয়েছেন ২ জন। রাজ্যের করোনা আক্রান্তের জন্য তৈরি সেফ হোমগুলোতে কেউ করোনা নিয়ে ভর্তি নেই। তবে, বাড়িতে করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন ৪২ জন।
advertisement
আরও পড়ুন- কেতুর দোষ না ধনদোষ? ছায়া গ্রহের গোচর কী নিয়ে আসছে ভাগ্যে নতুন বছরে
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর লাগামছাড়া হয়ে পড়েছিল পরিস্থতি। সেই অবস্থায় মাস্কের ব্যবহার ভুলতে বসেছিল আমজনতা। গ্রাফও নীচের দিকে গিয়েছিল। তবে এরপর আবারও তৃতীয় ঢেউ দেখে বিশ্ববাসী। সেখানেও বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও দেখেছিল রাজ্যবাসী। পুজোর পর চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হলেও অবশেষে স্বস্তি মেলে গোটা দেশে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যের অর্থ করোনা বিদায় না বলাই ভাল। যতক্ষণ না সম্প্রতি আক্রান্ত হয়েছেন যারা, তাঁরা সুস্থ হচ্ছেন ততক্ষণ ভাইরাস আছে বলেই ধরে নিতে হবে। কারণ এখনও অনেকেই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। এছাড়াও করোনা পজিটিভ কী না, জানার জন্যে টেস্টের সংখ্যা কমেছে। বহু মানুষই টেস্ট করাচ্ছেন না, ফলত এখনই বোঝা মুশকিল রাজ্য আদৌ করোনা শূন্য কী না।