পূর্ব রেল সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে নাইসেডে ১১ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। তার সব ক’টি পজিটিভ রিপোর্ট আসে। গত বুধবার ৩৬ জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। ইতিমধ্যে আক্রান্ত ১৭ জন রেলকর্মীকে বিআর সিং হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব রেল থেকে গত সপ্তাহে ১৬ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ১৫ জনেরই পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তাঁরা সকলেই বিএনআর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খড়গপুর রেল হাসপাতালে ভরতি ৮ জন, আদ্রায় ১ জন চিকিৎসাধীন। সব শ্রেণির কর্মীদের মধ্যে কোভিডের সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে বলে স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে। পূর্ব রেলে ইতিমধ্যে ৩ চিকিৎসক ও ৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত। এছাড়া শনিবারও বেশ কয়েকজন রেল কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। আগামীকাল সেই রিপোর্ট আসার কথা৷ ফলে সব মিলিয়ে ধীরে ধীরে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও।
advertisement
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে ১১ 'পাগল'! আদৌ কি তাই? বাংলাদেশের দাবিতে তুমুল শোরগোল
পূর্ব রেলের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, পুনরায় দ্রুত কোভিডের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এটা চরম উদ্বেগের বিষয়। তবে এখনও ট্রেন বন্ধের মতো পরিস্থিতি আসেনি।" যাত্রীদেরকে আশ্বস্ত করলেও রেল কর্তৃপক্ষ, সচেতনতা প্রচারে জোর দিচ্ছে ভীষণ ভাবে। রেল আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, স্টেশন চত্বরে সরকারিভাবে জারি করা বিধিনিষেধ মানতে হবে।
আরও পড়ুন: সে কী, হঠাৎ দার্জিলিংয়ে অজিত দোভাল! কারণ নিয়ে প্রবল গুঞ্জন শুরু পাহাড়ে
শিয়ালদহ ডিআরএম এস পি সিং জানিয়েছেন, ”মাস্ক এখন সরকারি নিয়মে চালু থাকায় তা যাত্রীদের ব্যবহার করতে হবে। এর জন্য সতর্কও করা হবে তাঁদের।" কোভিড পরীক্ষায় পজিটিভদের চিহ্নিত করা গেলেও বহু কর্মী এখন অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে রয়েছেন। অনেকে অসুস্থ অবস্থায় ফিল্ড ডিউটি করে যাচ্ছেন। তাঁরা পরীক্ষা করাননি। ফলে সংক্রমণ বাড়ার মতো সব পরিস্থিতি এখন রয়েছে, বলে অভিযোগ করছে রেল ইউনিয়নগুলি। করোনা সংক্রমণ রুখতে বিআর সিং ও বিএনআর হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ড পুনরায় প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে৷