কলকাতার গড়ফায় যেমন ১৬ ঘণ্টা পড়ে রইল করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া বৃ্দ্ধার দেহ। ঘটনাটি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। হালতু এলাকায় থাকতেন সত্তরোর্ধ্ব সন্ধ্যা পাল। গত কয়েকদিন ধরেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। বুধবার করোনা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। শেষে বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের দাবি, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যায়নি। এমনকী করা যায়নি বেডের ব্যবস্থাও। মৃত্যুর তিন ঘণ্টা পর তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর বৃহস্পতিবার রাত থেকে এদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাড়িতেই পড়ে থাকে দেহ। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে এ বিষয়ে শুরুতে কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। শেষমেশ সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারিত হতে সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়।
advertisement
অপরদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে ১৪ ঘণ্টা ধরে পড়ল করোনায় মৃতের দেহ। বৃহস্পতিবার রাত ১ টা নাগাদ করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাঁর ছেলের অভিযোগ, সরকারের বিভিন্ন বিভাগে ফোন করে কোনও সাহায্য মেলেনি। গত ১৭ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু কোনও হাসপাতালে ভর্তি করা যায়নি। মেলেনি অক্সিজেনও।
একই চিত্র নদিয়ার কৃষ্ণনগরেও। জানা গিয়েছে, শক্তিনগরের উকিল পাড়ায় দীর্ঘক্ষণ পড়েছিল করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া এক বৃদ্ধের দেহ। তাঁর পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল রাত দুটো নাগাদ কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের বিপরীতে ওষুধের দোকানের মালিকের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, স্থানীয় পুরসভাকে খবর দেওয়া হলেও মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও কন্যা দুজনেই করোনা আক্রান্ত। ছেলে থাকেন বিদেশ। বৃদ্ধের মৃত্যু হওয়ার পর থেকে একাধিক বার স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। শেষে এদিন দুপুরে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।