প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রেলমন্ত্রী যাতে গোটা বিষয়টির শিকড় পর্যন্ত পৌঁছন, নিজের চিঠিতে সেই আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই৷ দিব্যেন্দুর কথায়, বন্দে ভারতের সাফল্য নিয়ে প্রতিবেশী দেশ তো বটেই, খুশি নন কেন্দ্রীয় সরকারে থাকা পূর্ববর্তী রাজনৈতিক দলও৷ সেই কারণে এই ঘটনার তদন্ত CBI-এর মতো কোনও সংস্থাকে দিয়ে করানো উচিত বলে মনে করেন সাংসদ৷
advertisement
আরও পড়ুন: ঠিক কীভাবে ঘটল ভয়াবহ মর্মান্তিক এই রেল দুর্ঘটনা? মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই সবশেষ
যদিও প্রাথমিক তদন্তের পরে অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে রেল৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে সিগন্যালে ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে আরও তদন্ত করার পরেই ঘটনার প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন রেল আধিকারিকদের একাংশ।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরে এক যৌথ রিপোর্টে রেলের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘আপ মেন লাইনে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ট্রেনটি সেই লাইনে ঢোকেইনি। ট্রেন ঢুকেছিল লুপ লাইনে। সেখানে আগে থেকে একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। তার সঙ্গেই সংঘর্ষের পরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়।’’
আরও পড়ুন: আহতদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে রাজ্যপাল! ঘোষণা করলেন আর্থিক সাহায্যেরও
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ‘‘এর মধ্যে ডাউন লাইন দিয়ে বালেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনেরও দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয় এই ঘটনায়।’’
কিন্তু মেন লাইনে গ্রিন সিগন্যাল থাকা সত্ত্বেও করমণ্ডল এক্সপ্রেস কেন লুপ লাইনে ঢুকল, সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয় এখনও। এ ক্ষেত্রে সিগন্যাল দেওয়ায় ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।