সপ্তাহের শেষদিন এবার বড়দিন ৷ সপ্তাহান্তে শনিবারের ছুটির দিনে ক্রিসমাসের আগাম পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা আনন্দ উপভোগ করতে সকাল থেকেই চিড়িয়াখানা, চার্চ, নিকোপার্ক, পার্কস্ট্রিট ও ইকোপার্কের মতো জায়গায় ভিড় জমিয়েছেন সকলে ৷ সে ভিড়ে উচ্ছল ষোড়শী ও হতবাক আটের খুদের পাশাপাশি যোগ দিয়েছেন প্রৌঢ় ও প্রৌঢ়ারা ৷
বড়দিনের এক সপ্তাহ আগে থেকেই সেজে উঠেছে পার্কস্ট্রীট, বো-ব্যারাক, ক্যাথিড্রাল, ব্যান্ডেল চার্চ ৷ সন্ধে নামতেই গির্জার ঘন্টাধ্বনীর সঙ্গে কেক খেয়ে সেলিব্রেশনে মাতবে বাঙালি। গোটা কলকাতায় তাই উৎসবের আবহ।
advertisement
এরই মাঝে নোট ভোগান্তির কারণে বিকিকিনি তেমন ভালো না হওয়ায় মুষড়ে পড়েছেন ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা ৷ তবে সপ্তাহ শেষে ভিড়ের সমাগম দেখে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা জেগেছে দোকানিদের মনে ৷
বড়দিনের উৎসব যেকোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন কড়া পুলিশি প্রহরা ৷ ক্রিস্টমাসের পার্কস্ট্রিটকে নিরাপত্তায় ঢেকে দিতে একেবারে তৈরি কলকাতা পুলিশ ৷ শনিবার থেকেই গোটা এলাকায় মোতায়েন থাকবে ২৫০০ পুলিশ ৷ শহর জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় থাকবে ২০০ টি পুলিশ পিকেট ৷
নিরাপত্তায় কলকাতা পুলিশের উদ্যোগ- নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে ১৫টি পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্স বুথ ৷ গোটা পার্কস্ট্রিটে ছড়িয়ে থাকছে ১১টি ওয়াচ টাওয়ার ৷ গঙ্গা বক্ষে দুটো রিভার পেট্রোল রাখা হবে ৷ থাকবে ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ৷ মেট্রো স্টেশনেও মোতায়েন অতিরিক্ত পুলিশও ৷ কলকাতা পুলিশের ১০ জন সিনিয়ার অফিসারও থাকবেন দায়িত্বে ৷
নিরাপত্তাকে সুদৃঢ় করতে ৫টা জোনে ভাগ করা হবে পার্কস্ট্রিটকে ৷ শহরের সমস্ত হোটেল, ক্লাবের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করে পুলিশ শহরের প্রত্যেকটি ক্লাব, ডিস্ক ও হোটেলকে জানিয়েছে, পান্থশালায় ১৮ বছরের কম বয়সিদের ঢোকা একেবারে নিষেধ ৷ প্রত্যেকটি ক্লাব, ডিস্ক, হোটেলে সিসিটিভি জরুরী ৷ বিভিন্ন চার্চ, শপিং মল, হোটেল ও ক্লাবের নিরাপত্তা জোরদার করতে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ ।