বিজেপি থেকে ইস্তফা ঘোষণা করার পরেই শোভন-বৈশাখীর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়ও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বলেন, 'আমাকে দলে রাখলে ওনারা থাকবেন না, এই শর্ত দেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে আমি তো এখন প্রার্থী, বাদ দেওয়ার উপায় নেই। তাই মনে হয় আর ওনারা দলে ফিরবেন না।' বাস্তবও তাই। শোভন, বৈশাখী বিজেপিতে সক্রিয় হওয়ার পর
advertisement
বিধানসভা ভোটের মুখে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল বিজেপিকে। ঠিক এরপরই দিলীপ ঘোষ বলে দিয়েছিলেন, 'বিজেপি একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। এখানে কর্মীরা নিয়ম মেনেই কাজ করেন। দল যাকে যা নির্দেশ দিয়েছেন, সেই মতো কাজ করতে হবে। কেউ তা না করতে পারলে, তাঁরা নিজেদের মতো ভাববেন। কেউ দলের শৃঙ্খলার বাইরে নন।' তখনই যেন চিত্রটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, আর শোভনকে নিয়ে ভাবতে নারাজ বিজেপি। যদিও প্রার্থী তালিকা নিয়ে যেভাবে দিকেদিকে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাতে বেহালা-পূর্বের মতো সিটে শোভনকে প্রার্থী করে কিছুটা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হতে পারে বলে জল্পনা চলছিলই। কিন্তু তাতে একপ্রকার জল পড়ে গেল বৃহস্পতিবারই।
বিজেপি সূত্রের খবর, বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে শোভনকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বেহালা পূর্বের টিকিট না দেওয়া তাঁর কাছে নৈতিক পরাজয় বলে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন শোভন। অন্যদিকে, বৈশাখীকে প্রার্থী না করায় ক্ষোভ প্রকাশও করেছিলেন তিনি। এরপরই তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবারের পর অনেকেরই মত, কার্যত রাজনৈতিক সন্ন্যাসের দিকেই এগিয়ে গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
