পার্পল লাইনের মাঝেরহাট থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (RVNL), রূপায়ণকারী সংস্থা ৪৮ মাসের মধ্যে কাজটি সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে৷ মাঝেরহাট-এসপ্ল্যানেড সেকশন চালু হওয়ার পরে, কলকাতার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ অর্থাৎ তারাতলা, বেহালা, ঠাকুরপুকুর এবং জোকা এলাকা থেকে যাতায়াত করা যাবে। এর ফলে কলকাতা শহরের পশ্চিম প্রান্তের সঙ্গে মধ্য কলকাতার যোগাযোগ মসৃণ এবং সহজ হবে।
advertisement
ভিক্টোরিয়া স্টেশনের মতো, এই স্ট্রেচের পার্ক স্ট্রিট স্টেশনটিও উত্তর-দক্ষিণ করিডরের বর্তমান পার্ক স্ট্রিট স্টেশনের পাশে মাটির নিচে নির্মিত হবে। এই দুই স্টেশনের মধ্যে দূরত্ব হবে ৮ মিটার। পার্ক স্ট্রিট স্টেশন হবে পার্পল লাইনের চারটি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনের একটি। এই স্টেশনটি চালু হওয়ার পরে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন কলকাতার অত্যন্ত হ্যাপেনিং এলাকৈ পার্ক স্ট্রিটে পৌঁছতে পারবে।
আরও পড়ুন – Amazon Great Indian Festival 2023: দেদার পাগল করা সেল, জলের দরে ল্যাপটপ থেকে টিভি, দেখে নিন ছাড়ের লিস্ট
এই স্টেশনটি ব্লু লাইন এবং পার্পল লাইনের ইন্টারচেঞ্জিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে। শহরতলির এলাকার যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য এখানে করিডর পরিবর্তন করবে। শহর ও শহরতলী লোকেরা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বা ময়দানে যেতে পারবে৷ এই অংশ কলকাতার মধ্যে থাকা সবচেয়ে বড় খোলামেলা জায়গা৷ ফলে গ্রীষ্ম এবং শীতে বহু মানুষ এই এলাকায় ঘুরতে আসেন৷ এই লাইন তৈরি হওয়ার ফলে প্রচুর মানুষ সহজেই গড়ের মাঠে পৌঁছে যেতে পারবেন৷
পার্ক স্ট্রিট স্টেশনের নির্মাণ কাজ নির্বাহকারী সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল)। আরভিএনএল এই ভূগর্ভস্থ স্টেশন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা ব্যারিকেডিং শুরু করেছে। এই স্টেশনটি নির্মাণের জন্য, কয়েকটি ময়দানের ক্লাবের তাঁবুও প্রাথমিকভাবে ভেঙে ফেলা হবে এবং নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরে ফের তা পুনর্নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
এই কাজের পথ সুগম করতে বেশ গাছও এক জায়গা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ফের রোপন করা হবে। বর্তমানে আরভিএনএল ইঞ্জিনিয়াররা নির্মাণ কাজ শুরুর আগেই নানা রকম কাজ শুরু করেছেন। ব্যারিকেডিংয়ের কাজ শেষ হওয়ার পরে, পার্ক স্ট্রিট স্টেশন নির্মাণের জন্য ১২-মিটার গভীর ডায়াফ্রাম প্রাচীর তৈরি করা হবে যা প্রায় ৩২৫-মিটার দীর্ঘ এবং ২৩.৫-মিটার চওড়া হবে। এই স্টেশনটি প্রায় ১১,৩০০ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত থাকবে৷
মেট্রো রেলওয়ের নির্মাণ কার্য পরিচালনার সময় কম্পনের মাত্রা নির্ণয় করার জন্য ইতিমধ্যেই ভাইব্রেশন ইমপ্যাক্ট স্টাডি করা হয়েছে। পাশাপাশি এই এলাকার বিল্ডিংগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হবে।
এই স্টেশনের নির্মাণ কাজের সময় বিশেষ করে ময়দান এলাকায় বায়ু ও শব্দ দূষণ কমাতেও বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই স্টেশনের ড্রয়িং প্রুফ পরীক্ষা করার জন্য IIT-Guwahati-র বিশেষজ্ঞদেরও পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে৷