জাতীয় স্তরে কংগ্রেস-তৃণমূল দূরত্ব কমায় কি আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে একজোট হয়ে লড়াই করতে দেখা যাবে দুই পুরোন শরিককে? ২০২১ এবং ২০২৪ সালের বিপর্যয়ের পর কি রাজ্যে ভেঙে যাবে বাম-কংগ্রেস জোট?
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার যা ইঙ্গিত দিলেন, তাতে ২০২৬ সালে কংগ্রেস যে বামেদের হাত ছাড়ছে তা অনেকটাই নিশ্চিত৷ কিন্তু কংগ্রেস রাজ্যে তৃণমূলের হাত ধরবে, এমন কোনও সম্ভাবনার কথাও বলেননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি৷ বরং তাঁর দাবি অনুযায়ী, রাজ্যের ২৯৪টি আসনে একাই লড়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে কংগ্রেস৷
advertisement
২০২৬ সালের জোট সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শুভঙ্কর সরকার এ দিন বলেন, ‘বাংলার মানুষ চায় কংগ্রেস প্রতীকে দাঁড়াবে। পরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হাই কমান্ডের ও নির্দেশ অনুযায়ী আমরা চলবো। বিজেপি কে ঠেকাতে কংগ্রেস লড়াই করবে। জোটের কথা ভাবছেন কেন? কংগ্রেস ২৯৪ টা তেই লড়াই করবে। কংগ্রেসকে বাংলার মানুষ চাইছে। কংগ্রেস না হলে বাংলার শিল্পের চিহ্নিত হওয়া উঠবে না। আমি এবং আমার কর্মীরা চাইছি হাত চিহ্নে লড়াই করতে। এখন পথ চলতে চলতে সময় কে আসবে আর কে যাবে সেটার জন্য প্রতীক্ষা করতে হবে।’
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যর্থতার পরেও ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও বামেদের সঙ্গেই আসন সমঝোতার পথে হাঁটেন তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী৷ শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের এই তীব্র বিরোধিতা এবং নির্বাচনী বিপর্যয়ের জেরেই পদ খুইয়েছিলেন অধীর৷ তাঁর জায়গায় দায়িত্বে আসা শুভঙ্কর সরকার কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই সেভাবে তৃণমূলের তীব্র বিরোধিতার পথে না হেঁটে ভারসাম্য বজায় রেখেছেন৷ শেষ পর্যন্ত ২০২৬-এর নির্বাচনে রাজ্যে কংগ্রেসের কৌশল কী হয়, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের৷