নবান্ন অভিযানের সাফল্যই তুলে ধরছে বামদলগুলি। আর তার রেশ ধরে রাখতে মরিয়া তারা। তাই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর থেকেই পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগে সরব হন বামনেতারা। মঙ্গলবার ধিক্কার দিবসের ডাক দেওয়া হয়। অস্ত্রে শান দিতে বিধানসভাকেও মঞ্চ করেন বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা।
অধিবেশন শুরু হতেই পুলিশি অত্যাচার ও বিধায়কদের আটক করার অভিযোগে মুলতুবি প্রস্তাব চায় বাম ও কংগ্রেস। তা খারিজ হতেই শুরু হয় বিক্ষোভ। প্ল্যাকার্ড ও কালো পতাকা হাতে নিয়ে ওয়েলে নেমে চলে বিক্ষোভ। এরপর, ওয়াক আউট করেন বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা।
advertisement
শুধুমাত্র বিধানসভাতেই থেমে থাকেনি বাম-কংগ্রেস বিধায়কদের বিক্ষোভ। রাজ্যপালের কাছেও নালিশ জানান তাঁরা। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘নবান্ন অভিযানে হাজার-হাজার মানুষ আহত ৷ রাজ্যকে কারাগারে পরিণত করা হচ্ছে ৷ সাংবাদিকদের মারধর করা হয়েছে ৷ আমরা রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছি ৷’
বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের মন্তব্য, ‘জঘন্য অপরাধ করেছে সরকার ৷গতকালের আন্দোলনে পুলিশের অত্যাচার ৷ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে লাঠি চালায় পুলিশ ৷ ছাড় পাচ্ছেন না সাংবাদিকরাও ৷ তাঁদেরও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে ৷ ফ্যাসিস্ট কায়দায় হামলা পুলিশের ৷ রাজ্যপালকে সব জানিয়েছি ৷ এরাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন ৷’
বিধানসভায় বাম ও কংগ্রেসের বিক্ষোভে যোগ দেন বিজেপি বিধায়ক দিলীপ ঘোষও। নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে নয়া তত্ত্ব খাড়া করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘বিজেপি-র মোকাবিলায় মরিয়া সরকার ৷ লাঠিচার্জ করে বামেদের জমি ফেরানোর চেষ্টা ৷ বিরোধী আসনে বসানোর চেষ্টা মমতার ৷ বাম-তৃণমূল সমঝোতায় নবান্ন অভিযান ৷’
বাম ও কংগ্রেসের বিধায়কদের বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাব পাস করেছে সরকারপক্ষ।
বিরোধীদের নিন্দায় সরকার
বাম-কংগ্রেস বিধায়করা যে আচরণ করেছেন, বিধানসভার বিধি অনুযায়ী তা অসঙ্গত। এভাবে অধ্যক্ষের কাজে বাধা দেওয়া যায় না।
বামেদের দীর্ঘদিন ধরে মরচে পড়ে থাকা সংগঠনে কিছুটা ঝাঁকুনি দিয়েছে নবান্ন অভিযান। সেই কর্মসূচির বাড়তি ফসল ঘরে তুলতেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে তারা ৷