আচমকাই ঠিক করেন রাজভবনে নয়, শনিবার রাতে থাকবেন বেলুড় মঠে। রবিবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। জাতীয় যুব দিবস। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে CAA প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তাতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া বিরোধীদের। একসুর তৃণমূল-বাম-কংগ্রেস।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, ‘বেলুড়মঠ আমাদের দেশের শুধু এক আধ্যাত্মিক কেন্দ্র না, এটি আমাদের মননের শক্তি এবং শিক্ষার স্থল। আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দেশের অনেক নেতাকে বেলুড়মঠে আসতে দেখেছি। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী অনেকবার বেলুড়মঠে এসেছেন কিন্তু নরেন্দ্র মোদির মত রাজনীতি করতে দেখিনি। বেলুড়মঠকে রাজনীতির মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী এই পুন্য ভূমিকে কলুষিত করলেন। বেলুড়মঠে দাড়িয়ে যেভাবে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিলের অসত্য প্রচার করলেন সেটা প্রকারান্তে স্বামী বিবেকান্দের অপমান। গান্ধীজির কথাকেও বিকৃত করলেন। গান্ধী দেশবিভাগের পরে ভারতে থাকা সব ধর্মের মানুষকে এখানে থেকে যেতে বলেছিলেন। মোদী ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করার জন্য মানুষের মধ্যে বিভাজন করেন। তবে রামকৃষ্ণ মিশনের অনেক প্রাক্তনী মোদির রাজনীতিতে বিরক্ত হয়েছেন। বাংলার আপামর মানুষও বেলুড় মঠকে কলুষিত করার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে ক্ষমা করবেন না।’
advertisement
স্বামী বিবেকানন্দ প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের ঘোষণাপত্রে বলা আছে, ‘রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন দুনিয়াজুড়ে বিস্তৃত একটি রাজনৈতিক, অসাম্প্রদায়িক, আধ্যাত্মিক সংগঠন। শতাধিক বছর ধরে মানবিক, সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত।’
কোটি কোটি মানুষের আবেগের সঙ্গে যুক্ত সেই সংগঠনের মঞ্চ থেকে এখনকার সবথেকে বিতর্কিত বিষয়ের উল্লেখ। তাই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার অভিযোগ। সংগঠনের ঐতিহ্যের প্রকাশ তাঁদের বক্তব্যেও। সফরের শুরু থেকে শেষ। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে।