যদিও দিলীপের এ প্রসঙ্গে সাফাই, 'অনুবাদ করতে গেলে এমন একটু হয়। দিল্লিতে তো আর বাংলা নেই। ওরা হিন্দি থেকে বাংলা অনুবাদ করে।' এখানেই থামেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সমালোচকদের জবাব দিয়ে বলেছেন, 'আমি সুযোগ দিয়েছি অনেককে খবর ছাপানোর জন্য। মন্তব্য করার জন্য।' এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ এনে দিলীপ বলেন, 'আমি জ্যাকেট পড়ে নৌকায় চেপে বন্যাত্রাণ বিলি করতে গেলে যা ছবি হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় জলে দাঁড়িয়ে ছবি তুললে সেটা বেশি প্রচায় হয়। এটাই আজকাল নিয়ম। যারা এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ।'
advertisement
বাংলায় নারীদের সুরক্ষা নিয়ে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ নতুন কিছু নয়। বাগনানের ঘটনার প্রেক্ষিতে সাংসদরা হাতে তুলে নিয়েছিলেন পোস্টার। কিন্তু সেই পোস্টারেই বানান বিভ্রাট নিয়ে কটাক্ষের মুখে পড়েন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছিলেন, 'দিলীপ বাবুকে বলব, যাদের নিয়ে ব্যানার লেখাবেন তাদের আগে বানান শেখান। কন্যা কখনও কন্না হয় না। গান্ধি মূর্তির পাদদেশে বসেছিলেন দিলীপ বাবুরা। আর গান্ধিজিকে মেরেছিলেন নাথুরাম গডসে। দিলীপ বাবু, আগে ইউপি দেখুন। সেখানে যান। সেখানে তো মানবাধিকার কমিশন তো যায় না। এখানে মহিলারা সুরক্ষিত। মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন আপনারা।'
দিলীপ ঘোষ অবশ্য বানান ভুলেও নিজের অবস্থানেই অনড় রয়েছে। এর আগেও অবশ্য এ ধরনের নানা ঘটনা ঘটিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এবারও ভুল স্বীকার তো দূর, নিজের যুক্তিতেই অনড় থাকলেন তিনি।
