চুতুর্মুখী লড়াইয়ের শান্তিপুরে উপনির্বাচন হবে আগামী ৩০ অক্টোবর। গতকালই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী রাজ্যের সমস্ত নেতৃত্ব ও সংশ্লিষ্ট জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করে ৩০ তারিখের উপনির্বাচন নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানেই জানানো হয়, বামেদের সঙ্গে সমঝোতা ছিল যে ওই তিন আসনে অর্থাৎ দিনহাটা, খড়দা ও গোসাবায় প্রার্থী দেবে না কংগ্রেস। একুশের নির্বাচনের জোটের কথা মাথায় রেখেই শান্তিপুর বাদে বাকি আসনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কংগ্রেস। বামেরা না চাইলেও কংগ্রেস যে জন্য বামেদেরে জন্য জোটের রাস্তা খোলা রাখছে, তা স্পষ্ট হয়ে গেল এই সিদ্ধান্তে।
advertisement
কংগ্রেসের এই ঘোষণার পরই শান্তিপুরে চতুর্মুখী লড়াই হল। এখানে বামেরা প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। এবার কংগ্রেসও সেখানে প্রার্থী করল। সুতরাং এই একটি আসনে সমঝোতা হল না বাম-কংগ্রেসে। বামফ্রন্ট এখনও পর্যন্ত শান্তিপুর থেকে নিজেদের প্রার্থী প্রত্যাহার করার কোনও ইঙ্গিত দেয়নি। ২০১৬ সাল থেকে বামফ্রন্ট–কংগ্রেস জোট হয়েছে এ রাজ্যে। তারপর থেকে এই আসনে কংগ্রেসই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছে।
আরও পড়ুন: দিলীপ সরতেই ফের বঙ্গ BJP-তে স্বমহিমায় কৈলাস, এবার রথের সারথী কি শুভেন্দু?
এদিকে, এদিন খড়দহ, শান্তিপুর, দিনহাটা এবং গোসাবায় উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। দিনহাটা কেন্দ্রে বিজেপি (BJP) প্রার্থী অশোক মণ্ডল। শান্তিপুর, খড়দহ এবং গোসাবায় বিজেপি (BJP) প্রার্থী যথাক্রমে নিরঞ্জন বিশ্বাস, জয় সাহা এবং পলাশ রানা। গত বিধানসভা ভোটে এই চারটি কেন্দ্রেই ভোট হয়েছিল। কিন্তু ফলপ্রকাশের আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান খড়দহ কেন্দ্রের তৃণমূল (TMC) প্রার্থী কাজল সিনহা। ফলের পর দেখা যায়, বিপুল ভোটে জিতেছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে খড়দহ কেন্দ্রটি বিধায়ক শূন্য হয়ে যায়। এদিকে, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করেরও ৷ ফলে সেখানেও হবে উপনির্বাচন। অপরদিকে, শান্তিপুর এবং দিনহাটা কেন্দ্রে গত বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির দুই সাংসদ যথাক্রমে জগন্নাথ সরকার ও নিশীথ প্রামাণিক। পরে বিধায়ক পদ ছেড়ে সাংসদ পদেই বহাল থাকার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। ফলে ওই দুই কেন্দ্রেও এবার হতে চলেছে নির্বাচন। তৃণমূল সবার প্রথম ওই চার কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে দেয়।
