দুর্গাপিতুরি লেন। এই গলি এখন যেন আতঙ্কের আরেক নাম। মেট্রো প্রকল্পের জেরে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই বড় বড় ফাটল। গলির ভিতর কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। এরই মাঝে, সোমবার রাতভর দফায় দফায় বৃষ্টি। মঙ্গলবার সকালেও বৃষ্টি হয়। তখনই ভেঙে পড়ে তেরোর এ দুর্গাপিতুরি লেনের এই বাড়ির একাংশ। বারোটা দশ নাগাদ একেবারে ধূলিসাৎ। হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে তিনতলা বাড়ি। এই বাড়িটি শীল পরিবারের। একতলায় ছিল ছাপাখানা। এ ছাড়াও ছিল গয়না তৈরির কয়েকটি ছোট কারখানা। সেখানকার কর্মচারীরা সকাল থেকে দাঁড়িয়েছিলেন। চোখের সামনে দেখলেন, যেখানে কাজ করে তাঁদের সংসার চলে, সেটা ধুলোয় মিশে গেল।
advertisement
স্থানীয়দের বক্তব্য, দুর্গাপিতুরি লেনে ষাটের উপর সোনার কারখানা রয়েছে। কিন্তু, সে সব কারখানা থেকে কিছুই উদ্ধার করা যায়নি। কয়েক মিনিটের নোটিশে, নগদ টাকা, সোনা, দামি যন্ত্রপাতি সব ছেড়ে আসতে হয়েছে। এ দিন তাই ঝুঁকি নিয়েই দুর্গাপিতুরি লেনে ঢোকার চেষ্টা করেন ব্যবসায়ীরা। পুলিশ বাধা দিলে বচসা বাধে।
মঙ্গলবার দুর্গাপিতুরি লেনে জলের লাইন কাটতে যান পুরসভার কর্মীরা। তখন তাঁদের সঙ্গেও স্থানীয়দের বচসা বাঁধে। তাঁদের বক্তব্য, মেট্রোর কাজের জেরে এমনিতেই সব বাড়িতে কম-বেশি ফাটল। এই সময়ে পুরসভা ফের রাস্তা খুঁড়ে কাজ করলে নতুন করে বিপদ হতে পারে।