এদিকে, কলকাতায় কনসার্ট করা নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করল লালবাজার! শুক্রবার লালবাজারে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, '' নজরুল মঞ্চের মঙ্গলবারের সিসিটিভি ফুটেজ নেওয়া হয়েছে। ফায়ার এক্সটিংগুইসার স্প্রে করা হয়েছিল নজরুল মঞ্চের বাইরের দিকে। ওভার ক্রাউন্ডিং হয়েছিল, কিন্তু বাড়াবাড়ি রকমের নয়। লোক দাঁড়িয়ে ছিলেন, নাচছিলেন, কিন্তু পরিস্থিতি কন্ট্রোলের মধ্যেই ছিল।'' পুলিশ কমিশনার আরও জানান, '' ড্রোন ক্যামেরার ছবি দেখা এটা স্পষ্ট, যেমন মনে হচ্ছিল, বাইরে থেকে, তেমন ভিড় ছিল না। পাস বেশি ইস্যু হয়েছে কী না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেএমডিএ-র সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, এসি কাজ করেছে। এরপর থেকে আয়োজকদের আন্ডারটেকিং নেওয়া হবে। অনুষ্ঠানের ভেন্যুতে অ্যাম্বুল্যান্স, ডাক্তার-এর ব্যবস্থা রাখতে হবে। ক্যাপাসিটির থেকে বেশি পাস যাতে ইস্যু না হয়, সেই বিষয়টিও মনিটরিং করা হবে আগামীতে।''
advertisement
অন্যদিকে, গায়ক কেকের মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার, গুরুদাস কলেজের অধ্যক্ষ এবং নজরুল মঞ্চ কর্তৃপক্ষকে আইনি চিঠি দিয়েছেন আইনজীবী সৌম্যশুভ্র রায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘সঠিক পদক্ষেপ’ না করলে আগামী সপ্তাহে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করবেন তিনি। তাঁর দাবি, পুলিশ, প্রশাসন, কলেজ এবং নজরুল মঞ্চ কর্তৃপক্ষের কার বা কাদের ‘অবহেলার জন্য’ কেকের মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
মঙ্গলবার রাতে না-ফেরার দেশে পাড়ি দেন আসমুদ্র-হীমাচলের প্রিয় গায়ক কেকে। সেদিন সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীন-ই অসুস্থ হয়ে পড়েন সঙ্গীতশিল্পী। সামনে আসা একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, স্টেজ থেকে নেমে যখন হেঁটে নজরুল মঞ্চের বাইরে বেরোচ্ছেন কেকে, তখন তিনি ক্লান্ত, চোখ প্রায় বুজে এসেছে, মুখের হাসি মিলিয়ে গিয়েছে, কুলকুল করে ঘামছেন। গাড়িতে উঠে ম্যানেজারকে এও জানান, ''খুব ঠান্ডা লাগছে। ''
মঙ্গলবার রাত থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের বন্যা বয়ে যায়, শেয়ার হতে থাকে নানা ভিডিও। সেই সব পোস্ট যাঁরা করেছেন, তাঁদের অনেকেই নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেই পোস্টগুলিতে দেখা যায় কেকে-র অনুষ্ঠানে ভিড় উপচে পড়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকের বক্তব্য, অত ভিড় দেখে কেকে প্রথমে গাড়ি থেকে নামতেও দ্বিধা করছিলেন। কোনওক্রমে ভিড় সরিয়ে তাঁকে সরাসরি গ্রিনরুমে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্যদিকে, গায়ক কেকের মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার, গুরুদাস কলেজের অধ্যক্ষ এবং নজরুল মঞ্চ কর্তৃপক্ষকে আইনি চিঠি দিয়েছেন আইনজীবী সৌম্যশুভ্র রায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘সঠিক পদক্ষেপ’ না করলে আগামী সপ্তাহে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করবেন তিনি। তাঁর দাবি, পুলিশ, প্রশাসন, কলেজ এবং নজরুল মঞ্চ কর্তৃপক্ষের কার বা কাদের ‘অবহেলার জন্য’ কেকের মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
ANUP CHAKRABORTY