একই সঙ্গে কফি হাউসে আসা বহু মানুষের আবদার মেটালেন তাঁরা। রাজনীতির বাইরেও এই দু'জন যথেষ্ট জনপ্রিয়। যেমন ব্রাত্য বসুর নাটক তেমনই কুণাল ঘোষের লেখা। এই দুটো জিনিসই পছন্দ করেন প্রায় সব বাঙালিই। তাঁদেরই একাংশের আবদার মেটাতে হয়েছে। কখনও সেলফি তুলতে হয়েছে কখনো বা অটোগ্রাফ দিতে হয়েছে। অনেকে এসে কিছুক্ষণ গল্পও করেছেন৷ নিজের লেখা বইও টুক করে দেখিয়ে গিয়েছেন কেউ কেউ। এখানেই শেষ নয়। কফি হাউসে কাজ করা কর্মচারীরারাও দেখা করে গিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে।
advertisement
আরও পড়ুন - Weather Alert: উত্তাল হবে সমুদ্র, হু হু করে বইবে হাওয়া, মৎস্যজীবীদের জন্য জারি বিশেষ সতর্কতা
তবে অনেকেরই কৌতূহল ছিলো এই দুই পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ একসঙ্গে থাকলে কী ধরণের আড্ডা হতে পারে। অনেকেরই ধারণা ছিল নিশ্চয়ই রাজনীতি নিয়েই আলোচনা হবে। হয়তো বা বিরোধীদের বিরুদ্ধে কীভাবে যুক্তির অস্ত্রে শান দেওয়া যায় তা নিয়েই রণকৌশল ঠিক হবে। অনেকে ভেবেছিলেন হয়তো খবর নিয়েই আলোচনা চলবে।
অনেকে আবার নাটক, সিনেমা নিয়েই পুরো আলোচনাটা চলার সম্ভাবনার কথাই ভেবেছিলেন। কিন্তু আসলে সেরকম কিছুই হয়নি। দু'জনের কথা বলার মূল বিষয়টাই ছিল ছেলেবেলা নিয়ে। স্কুল-কলেজের কাটানো দিনগুলো নিয়ে৷ এই দুই নেতাই বেশ কয়েকবছর আগে নিয়মিত আসতেন কফি হাউসে। কে কোথায় বসতেন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সেই টেবিলগুলোরও খোঁজ নিচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন - Teacher beaten Student: বেধড়ক মারের ফলে আহত পড়ুয়া, ভবিষ্যত নিয়ে অভিভাবক
মোটের উপর কেমন ছিল সেইসব দিনগুলে তা ভেবে মাঝেমধ্যেই নস্টালজিয়ায় ডুবে যাচ্ছিলেন দু'জনেই । তবে সবচেয়ে যে বিষয়টা নিয়ে দু'জনেই অবাক হয়েছেন সেটা হল দু'জনেই একটা সময়ে নিয়মিত আসতেন কফি হাউসে। একই জায়গায় দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন। অথচ তখন কেনও দুজনের আলাপ হয়নি? আড্ডা শেষ হল একটা কথা দিয়েই, "কফি হাউসের আড্ডাটা আগেও যেমন ছিলো আজও তেমনি আছে।"
UJJAL ROY