জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম পাওলো সিজার ফিনহেরিও বাস্টরস। গত ১২ অগাস্ট ব্রাজিল থেকে দুবাই হয়ে কলকাতায় পৌঁছয় সে৷ কলকাতা বিমানবন্দরে এনসিবি তাঁকে আটক করার পর থেকেই ৩১ বছর বয়সি ওই যুবকের পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়৷পেটে ব্যথা শুরু হয়েছিল৷ তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷
আরও পড়ুন: নিয়োগ পরীক্ষায় অভিনব 'দুর্নীতির' অভিযোগ, CFSL পরীক্ষার নির্দেশ হাই কোর্টের
advertisement
প্রথমে যুবককে ভিআইপি রোডের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর পেটে ব্যথার কারণ জানতে যুবকের পেটের এক্স রে করেন চিকিৎসকরা৷ তাতে দেখা যায় যুবকের পেটের মধ্যে ক্যাপসুলের মতো জিনিস রয়েছে৷ এর পরেই আদালতের নির্দেশে ওই যুবককে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷
এসএসকেএম হাসপাতালে ওই যুবকের চিকিৎসা শুরু হয়৷ শেষ পর্যন্ত ওষুধ প্রয়োগ করে যুবকের পেটে থাকা হলুদ রংয়ের ৪৪টি ক্যাপসুল তাঁর মলের সঙ্গে বের করে আনেন চিকিৎসকরা৷ সব মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া কোকেনের ওজন প্রায় পাঁচশো গ্রাম৷ ক্যাপসুলগুলির মুখ খুলে দেখা যায়, তার প্রত্যেকটির মধ্যেই কোকেন ভরা৷
এ দিন ব্রাজিলীয় ওই যুবককে বারাসত আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকরা৷ ওই কোকেন কোথায় পাচার করা হচ্ছিল, যুবককে জেরা করে তা জানার চেষ্টা চলছে৷ যেভাবে ওই যুবকের পেট থেকে ৪৪টি ক্যাপসুল উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে ভিআইপি রোডের ওই বেসরকারি হাসপাতাল এবং এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের ভূমিকারও প্রশংসা করেছেন এনসিবি আধিকারিকরা৷
প্রাথমিক ভাবে এনসিবি কর্তাদের ধারণা, ব্রাজিলীয় ওই যুবক আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য৷ ভারতে তার ক্রেতাদের জন্যই ওই কোকেন নিয়ে এসেছিলেন তিনি৷ কোথা থেকে ওই কোকেন নিয়ে আসা হচ্ছিল, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷