আসলে জীবনযাত্রার ধরন বদলে যাচ্ছে, তাই বহু মানুষই কিডনি সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর এই সংখ্যাটাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেখানে সিএমআরআই-এর এই উদ্যোগ নতুন দিশা খুলে দিল।
আরও পড়ুন-এক দিনের খুঁত ধরতে গিয়ে হাইকোর্টে ফাঁপড়ে শিক্ষাসচিব !
সিএমআরআই ডিপার্টমেন্ট অফ রেনাল সায়েন্সেস-এর ডা. প্রদীপ চক্রবর্তী (প্রধান এবং ডিরেক্টর), ডা. অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় (নেফ্রোলজিস্ট ও ট্রান্সপ্লান্ট ফিজিশিয়ান) এবং ডা. রাজীব সিনহা (পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজিস্ট ও ট্রান্সপ্লান্ট ফিজিশিয়ান) জানিয়েছেন, দারুণ পরিকাঠামো এবং সুযোগসুবিধা-সহ এখানে সফল ভাবে কিডনি সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসা করা হয়।
advertisement
ডা. প্রদীপ চক্রবর্তী (Dr. Pradip Chakrabarti) যোগ করেন, কিডনি সংক্রান্ত রোগ একদম শেষ পর্যায়ে চলে গেলে তবেই রেনাল ট্রান্সপ্লান্টের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক কালে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে ট্রান্সপ্লান্টেশনের ফলাফলেরও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে উন্নতিসাধন ঘটেছে। আর এই বড় অস্ত্রোপচারে দাতা ও গ্রহীতা উভয়ের ক্ষেত্রেই সব রকম নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়। দাতার ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারির সুবিধা এখানে রয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত আরোগ্য লাভ করে রোগী যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে, সেই দিকটাও নজরে রাখা হয়। ট্রান্সপ্লান্টের পরে রোগীদের ফলো-আপ করতে আসারও সুবিধা রয়েছে। আর ট্রান্সপ্লান্টের পর স্বাভাবিক ভাবে জীবনযাপনে রোগীর কোনও অসুবিধাই হয় না।
আরও পড়ুন-পছন্দের শীর্ষে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কিন্তু কেন? রইল বিস্তারিত
ডা. অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় (Dr. Abhinandan Banerjee) জানান, কিডনির রোগ প্রথম পর্যায়ে ধরা পড়লে কিছু সাধারণ বিষয় এবং সতর্কতা মেনে চললেই হবে। তা রোগ ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে দিতে পারে। কিডনির সমস্যায় ডায়ালিসিস হল অস্থায়ী সমাধান আর এর চূড়ান্ত সমাধানই হল কিডনি প্রতিস্থাপন বা ট্রান্সপ্লান্টেশন। জীবিত দাতা অথবা মৃত দাতার থেকে নিয়েই কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়ে থাকে। দাতা এবং গ্রহীতা উভয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরেই এই প্রতিস্থাপন বা ট্রান্সপ্লান্টেশন করা হয়ে থাকে। কিডনি প্রতিস্থাপনের পরে জীবনযাত্রার মানে ধীরে ধীরে উন্নতিসাধন ঘটে এবং রোগী দ্রুত স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে পারেন।
ডা. রাজীব সিনহা (Dr. Rajiv Sinha) জানান, বেশির ভাগ মানুষের মধ্যেই শিশুদের কিডনির রোগ নিয়ে সেরকম ঠিকঠাক ধারণাই থাকে না। আসলে বাচ্চাদের কিডনির রোগ হয় সাধারণত জেনেটিক কারণে এবং যেটা হয়ে দাঁড়ায় এন্ড স্টেজ রেনাল ডিজিজ। আর এর সমাধানের জন্য পেরিটোনিয়াল বা হিমোডায়ালিসিসের পথ অবলম্বন করতে হয়। কিডনির রোগে আক্রান্ত শিশুদের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন– গ্রোথ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং আরও অনেক কিছু। আর কিডনি প্রতিস্থাপনের পরে রোগীর স্বাভাবিক জীবনযাপনে কোনও অসুবিধাই থাকে না।