কালীঘাটে টালির বাড়িতেই থাকতেন তিনি ৷ ৩০বি, হরিশ চ্যাটার্জির বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আপাতত ঠিকানা বদলাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জরাজীর্ণ হয়ে উঠেছিল এই টালির বাড়ির ৷ ঘরের ভিতর সিলিংয়ের বাঁশগুলোতে ধরেছিল পচন ৷ দ্রুত দরকার ছিল মেরামতি ৷ বিশেষত, নিরাপত্তার কারণেই বার বার বাড়ি বদলের প্রস্তাব এসেছিল প্রশাসনিক কর্তাদের কাছ থেকে ৷ কিন্ত সে প্রস্তাব প্রথমে মানতে নারাজ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ শেষমেশ, বাড়ি বদলানোর ব্যাপারে সায় দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শীঘ্রই শুরু হবে কালীঘাটের বাড়ি মেরামতির কাজ ৷
advertisement
নবান্ন সূত্রে খবর, একমাসেরও বেশি সময় ধরে সারাইয়ের কাজ চলবে। বাড়ির কাঠামোর কোনও বদল না করেই এই কাজ চলবে। সেইসময় অন্য কোথাও থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ভবনে তাঁর একটি ঘর রয়েছে। কিন্তু পাশে একটি কারখানা থাকায় ঝুঁকি নিতে চাইছেন না নিরাপত্তারক্ষীরা। মুখ্যমন্ত্রীর অস্থায়ী ঠিকানার জন্য আলিপুর ও সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি খুঁজছে প্রশাসন। নবান্ন লাগোয়া কোনও বাড়ি খোঁজা হচ্ছে।
সময় লাগবে ৷ সে সময় অন্য কোথায় থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ নিরাপত্তার কারণে, মুখ্যমন্ত্রীকে রাখা যাবে না তৃণমূল ভবনে ৷ তৃণমূল ভবনের পাশে কারাখানা থাকায় এই সিদ্ধান্ত ৷ তাই আলিপুর বা আলিপুর লাগোয়া এলাকাতেই খোঁজা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নতুন বাড়ি ৷ কালীঘাটের এই বাড়িতেই মা গায়েত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে থাকতেন মমতা ৷ প্রচুর স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই বাড়ির মধ্যে ৷ কিন্তু প্রশাসন মনে করছেন, নিরাপত্তার কারণেই কালীঘাটের বাড়িটির সংস্কার দরকার ৷
মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাটের এই টালির বাড়িতে এসেছেন বহু জনপ্রিয় মানুষেরা ৷ এই বাড়িতে এসেই মমতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন অটল বিহারী বাজেপেয়ী, অমর সিং, শাহরুখ খান, জুহি চাওলা-র মতো ব্যক্তিত্বরা ৷