মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘অবৈধ কয়লাখনির কাজকর্মে নজরদারি করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও কয়লা মন্ত্রকের কাজ। বেআইনি কয়লা খনিগুলিকে আইনি করে দিলে টাকাও পাবে সরকার। পাশাপাশি লোকেদের চাকরিবাকরিও হবে। বেআইনি খনন, বিপদ বন্ধ হবে।’’
আরও পড়ুন- ‘আগুন নিয়ে খেলা নয়…’ অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলায় দীর্ঘ উপদেশ নামা রাজ্যপালের
আরও পড়ুন– আরও শক্তিশালী ‘মোকা’ ! ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ-সহ ল্যান্ডফলের স্থান এবং সময় জেনে নিন
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী রানিগঞ্জের ধসের বিষয়টা মনে করিয়ে দিয়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেন। প্রসঙ্গত এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবৈধ কয়লা খনিগুলিকে কীভাবে বৈধ করা যায়, তা নিয়েও রাজ্য প্রশাসনকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। রাজ্য প্রশাসনের একাংশের মতে, গোটা বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলার পরেই একটি নির্দিষ্ট পলিসি তৈরি করতে হয়। নবান্ন সূত্রে খবর, শীঘ্রই এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্থানের আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবে।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘উৎকর্ষ বাংলা’ নিয়ে একটি রিভিউ বৈঠক করেন। সেই রিভিউ বৈঠকে যে সমস্ত পড়ুয়ার কোর্স শেষ হয়ে যাচ্ছে, তারা কেন চাকরি পাচ্ছেন না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। অবিলম্বে নিয়োগের ব্যবস্থার নির্দেশ মুখ্য সচিবকে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খানিকটা ক্ষোভও প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া তিন মাসের মধ্যেও শেষ করার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কীভাবে তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে, তা নিয়ে পুলিশকে বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষত সাত দিনের মধ্যে যাতে ট্রেনিং প্রোগ্রাম শেষ করা যায় তা নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে বিষয়টি দেখতে বলেন। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব মাফিক শীঘ্রই কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে চলেছে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের আধিকারিকরা।