দীর্ঘ ১০ বছরের প্রতিক্ষা শেষ হতে চলেছে ২০ অক্টোবর। ওইদিনই সিঙ্গুরে কৃষকদের জমি ফেরানোর কাজ শুরু করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিন কাদের হাতে জমি তুলে দেওয়া হবে, তা প্রায় চূড়ান্ত। বেশ কয়েকধাপে প্রায় ৯৫০ একর জমি ফেরতের কাজ সারতে চায় রাজ্য প্রশাসন।
নবান্নে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, সিঙ্গুরে অধিগৃহীত জমির প্রায় ৮০ শতাংশই চাষযোগ্য করে তোলা হয়েছে। তবে কংক্রিটের জঙ্গলে ঢাকা ৩৬ একর জমিই এখন রাজ্যের কাছে মূল চ্যালেঞ্জ। ওই জমিতে মাটির নিচে কংক্রিট ভাঙার জন্য নকশা পরীক্ষার কাজ চলছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো ১০ নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই জমি ফেরতের কাজ শেষের ব্যাপারে আশাবাদী রাজ্য।
advertisement
রাজ্য সরকার ঘোষণা অনুযায়ী এদিনই জমি ফেরতের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল সিঙ্গুরে। জমিকে চাষযোগ্য করতে সময় লাগায় তা সম্ভব হয়নি। এনিয়ে অবশ্য ভাবতে রাজি নয় সিঙ্গুরবাসী। বরং কবে জমি হাতে আসবে সেদিকেই তাকিয়ে তারা।
জমি ফেরতের কাজ খতিয়ে দেখতে রবিবার সিঙ্গুরে এসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার সে ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেন তিনি। সিঙ্গুরের জমি ফেরতের তদারকিতে থাকা অন্য মন্ত্রীরাও কাজের অগ্রগতি নিয়ে সন্তুষ্ট। এরপরই রিভিউ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, জমি ফেরতের কাজে আরও গতি আনতে সময় মেপে কাজ করবে প্রশাসন।