মহালয়ার সন্ধ্যায় জেলায় জেলায় পুজোর ভারচুয়াল উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । নবান্ন সূত্রে খবর, আজ সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ চেতলা অগ্রণীর পুজো উদ্বোদনের প্রাঙ্গণ, সেখান থেকেই রাজ্যজুড়ে ২০০টিরও বেশি পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে প্রস্তুত সেইসব জেলার পুজো উদ্যোক্তরা। পুজো উদ্বোধনের সময় যাতে পুজো উদ্যোক্তা, জনপ্রতিনিধি এবং জেলার প্রশাসনের আধিকারিকরা মণ্ডপে উপস্থিত থাকেন সে বিষয়ে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
advertisement
আরও পড়ুন: বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টে চাঞ্চল্য, সিবিআই তদন্তের দাবি
পাশাপাশি সেই সময় প্রত্যেকটি মণ্ডপে যাতে ঢাকি-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
রাজ্যের প্রায় ২৩০টিরও বেশি মণ্ডপ মহালয়ার দিন সন্দেয় ভারচুয়াল উদ্বোধন করবেন মমতা। ওইদিন চেতলা অগ্রণী থেকে ভারচুয়াল উদ্বোধন করলেও সোমবার থেকে কলকাতার একাধিক পুজো মণ্ডপ উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। চতুর্থী পর্যন্তই তাঁর এই কর্মসূচি চলবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। আজ বিকেলে জাগো বাংলার অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে দক্ষিণ কলকাতার আরও চারটি পুজো উদ্বোধন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পিতৃপক্ষের শেষে দেবীপক্ষের সূচনা, মহালয়ায় কলকাতার ঘাটে ঘাটে তর্পণ-চিত্র দেখুন
তার মধ্যে আছে যোধপুর পার্ক, ৯৫ পল্লী, বাবুবাগান, সেলিমপুর। সেখান থেকেই যাবেন শহরের ব্লকবাস্টার পুজো চেতলা অগ্রণিতে। সেখানেই তিনি প্রতিমার চোখ আঁকবেন। সেই পর্ব সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই জেলার পুজোর উদ্বোধন করবেন তিনি। চলতি বছরের দূর্গা পুজোকে ঘিরে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়েই। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে জেলায় জেলায় মিছিল করা হয়েছে৷ এছাড়া পুজো কার্নিভালের আয়োজনও করা হয়েছে৷ কোভিড পরিস্থিতিতে পুজোর প্রভাব পড়েছিল জেলাগুলোতে। এবার সেই অবস্থা বদলেছে। পুজো ঘিরে গোটা রাজ্য জুড়েই শুরু হয়েছে উন্মাদনা৷
