এবার থেকে কবাবই হোক বা মাছ-ভাত বা পছন্দের মিষ্টি, চা-কফি-বিস্কুট পেতে সমস্যা হবে না। মঙ্গলবারই পুরনো ক্যান্টিনকে সংস্কার করে রেস্তরাঁর আদলে চালু হল ‘খাদ্য ছায়া’। নামকরণও করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামান্নোয়ন দফতরের আনন্দধারা প্রকল্পের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে। শুধু খাবারই নয়, এবার থেকে ক্যান্টিনেই মিলবে রাজ্যে উৎপাদিত তুলাইপাঞ্জি চাল, অর্গানিক গ্রিন টি, মধু, সরষের তেল, মালদহের গোপালভোগ আমসত্বও।
advertisement
আরও পড়ুন: ১০ শ্রেণি উত্তীর্ণদের জন্য সুযোগ! ১৫ হাজার টাকার বেতন, ৮০টি শূন্যপদে নিয়োগ শীঘ্র
শুধুমাত্র নবান্নতেই নয়, আনন্দধারার স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিয়ে জেলা ও পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও ‘খাদ্য ছায়া’র ৬২টি একই রকম কাউন্টার খোলা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বুধবার নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন। মঙ্গলবারই দুপুরে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী নবান্নর নয়া ক্যান্টিন খাদ্য ছায়ার উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: ২ বছরের আশ্চর্য শিশুর এত প্রতিভা! ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডসে নাম, শুনে অবাক হবেন!
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থসচিব মনোজ পন্থ, পূর্ত সচিব অন্তরা আচার্য, পঞ্চায়েত পি উলগানাথন, হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য। ক্যান্টিন চালাবেন হাওড়ার বাছাই করা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ২৫জন সদস্য। যাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে এক বেসরকারি সংস্থা। মাছ ভাত, ডিম ভাত, মাংস ভাত সুলভে সব রকম থালির ব্যবস্থা আছে। দাম ৫৫ টাকা থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। নিরামিষাশী জন্যেও রয়েছে থালির ব্যবস্থা। খরচ মাত্র ৪০ টাকা। ঝা চকচকে অন্দরে একসঙ্গে ৪৪ জনের বসার আয়োজন।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়