মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘আমি ক্ষমা চাইছি বাংলার মানুষের কাছে (হাতজোড় করে )। আপনারা ভেবেছিলেন আজ মিটে যাবে। যারা নবান্নে এর গেটে এসে ও এলেন না তাদের ক্ষমা করে দিলাম।’’
আরও পড়ুন: দ্বাদশে দেশে সেরা, দক্ষিণী ছেলের ঝরঝরে বাংলা, ফিরে দেখা ‘সীতারামের’ রাজনৈতিক যাত্রা
advertisement
মমতার কথায়, ‘‘আমি এইটুকু আশা করেছিলাম ছোটরা এসে তাদের কথা জানাবে ও কাজে যোগ দেবে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে এরপর রাজ্য যা করবে আমরা তাদের সমর্থন জানাব। কাল ও বসে ছিলাম, ভেবেছিলাম আমি চলে যাব। আমি আমার মতো সাধ্যমতো চেষ্টা করলাম। এর পর যদি ওরা বসতে চায় মুখ্যসচিব, ডিজিকে বলবো আপনারা বসুন। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর কমন পিপল (আমরা সাধারণ মানুষের জন্য বিচার চাই)।’’
রোগীমৃত্যু প্রসঙ্গে এদিন বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘রেগুলার দুই আড়াই ঘন্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়েছে। আমাদেরও তো অনেক কাজ রয়েছে। আমি তিনবার চেষ্টা করলাম। ইতিমধ্যেই ২৭ জন মারা গিয়েছেন। ৭ লক্ষের বেশি মানুষ পরিষেবা পাননি। জুনিয়র ডাক্তাররা কাজ কিরছেন না। সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তাররা অনেকে কাজ করছেন না’’।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কারোর যদি হার্ট অ্যাটাক করে সে কিন্তু অপেক্ষা করতে পারে না। বিক্রম মারা গেছে আরজি করে। তার অ্যাক্সিডেন্ট হয়। দুটো পা দিয়ে রক্তের বন্যা বইছে। তাও কিছু বলেনি। কিন্তু বিক্রমের মা ও কাঁদছে।’’