মুখ্যমন্ত্রী জুলাই মাসেই জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যের ব্রিজগুলির স্বাস্থ্য কেমন। ১৫ দিনের মধ্যে চেয়েছিলেন রিপোর্ট। কিন্তু, সেই রিপোর্ট আটকে পড়ে লাল ফিতের ফাঁসে। আর দেড় মাস পড়েই ভেঙে পড়ল মাঝেরহাট ব্রিজ।
এ বছর পাঁচই জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে এই চিঠি দেওয়া হয় ৷
advertisement
চিঠিতে, রাজ্যের সমস্ত ব্রিজ, ফ্লাইওভার, বাঁধ, ড্যামের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে পনেরো দিনের মধ্যে মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। মুখ্যসচিব ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেন পূর্ত দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে ৷ তিনি আবার সমস্ত জোনের চিফ ইঞ্জিনিয়রদের থেকে তথ্য নিয়ে ইঞ্জিনিয়র-ইন-চিফকে ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেন।
আরও পড়ুন
এভাবেই প্রশাসনের অন্দরে চিঠি চালাচালি হয়েছে। রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। কিন্তু, লাল ফিতেতে আটকে পড়েছে সেই রিপোর্ট। এখানেই শেষ নয়। মাঝেরহাট ব্রিজের সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকবার টেন্ডারও ডাকা হয়। কিন্তু, কাজ এগোয়নি। পূর্ত দফতরের এক শীর্ষ কর্তার এও দাবি, মাঝেরহাট সেতু সংস্কারের জন্য পূর্ত দফতর থেকে ফাইল পাঠানো হয় অর্থ দফতরে। কিন্তু, টাকা বরাদ্দ হয়নি। ফাইল পড়ে থাকে অর্থ দফতরেই।
আরও পড়ুন
এই উপায়ে নিজের স্মার্টফোনের মাধ্যমেই জমাতে পারেন লাখ লাখ টাকা
এভাবেই লাল ফিতের ফাঁসে আটকে গেছে সেতু সংস্কারের কাজ। যার পরিণতি ভয়ঙ্কর। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল মাঝেরহাট ব্রিজের একাংশ।