বৈঠকের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ‘‘আলু কেন রপ্তানি হচ্ছে? এটা দেখতে হবে। বেচাকে (মন্ত্রী বেচারাম মান্না) আমি চেয়ারম্যান করলাম। বাংলার আলু যদি বাইরে চলে যায়। আমার প্রয়োজন মিটিয়ে অন্য রাজ্যে যাক আমি তো বলেছিলাম। কিন্তু বাংলায় দাম বাড়িয়ে আলু অন্য কোথাও যাবে কেন? আমার নিজের রাজ্যের মানুষ যদি খেয়ে অন্য রাজ্যে যদি পাঠানো হয় তাহলে আমি সেটা মেনে নেব।’’
advertisement
সীমানা পেরিয়ে আলু কেন রপ্তানি করা হচ্ছে? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, ‘‘সবটাই যদি ছেড়ে দেন, বর্ডার দিয়ে যাচ্ছে। কত স্টক সেটা আমাকে দেখাবে। কেন এটা হল না? কেন আমাকে জানানো হল না? ‘‘পলিটিকাল নেতারা ৫ টাকা খেলে অনেক বলে। কিন্তু লোয়ার লেভেল কিছু লোক পুলিশের কিছু লোক যারা সরকারকে ভালবাসে না, তারা করে। যত বেআইনি মাইনিং, কয়লা, বালি চুরি হচ্ছে সেগুলো টেন্ডার করো’’, নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ‘‘লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প বাংলা প্রথম শুরু করেছে। এখন বাংলা মডেল হয়ে গেছে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে (মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব পোর্টাল) ২৪ হাজার আবেদন পেয়েছিলাম। আমরা আগামী ডিসেম্বর মাসে ৫ লক্ষ ৭ হাজার মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে যুক্ত করা হল। ৬২৫ কোটি টাকা আরও বেশি খরচ হবে। অন্যান্য রাজ্যে অনেক নিয়মাবলী আছে। আমার রাজ্যে নেই। একটি বাড়িতে ৪ জন মহিলা থাকলেও পায়। আমাদের ২ কোটি ২১ লক্ষ মহিলা পাবে লক্ষ্মী এর ভান্ডার। দেখান তো কোনো রাজ্যে এত সংখ্যা আছে কিনা।’’
বিধবা ভাতার ক্ষেত্রেও বাড়বে সংখ্যা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের বৈঠকে জানালেন, ‘‘৪৩৯০০ বিধবা মহিলাদের নতুন করে ডিসেম্বর মাস থেকে বিধবা ভাতা দেওয়া হবে। এর জন্য রাজ্য সরকারের খরচ ৩ হাজার কোটি হয়ে যাবে।’’
আলু রপ্তানি প্রসঙ্গে মমতা আরও জানালেন, ‘‘যদি বলে তৃণমূলের নেতারা টাকা খাচ্ছে, আমি দরকার হলে লোকেদের কাছে আঁচল পেতে টাকা নেব। আইন সবার জন্য সমান ভাবে কার্যকর হবে। আলুর দাম বাড়ছে। পেঁয়াজ কষ্ট করে তৈরী করছি। এগ্রিকালচার ও রুরাল মিনিস্ট্রিকে বড়ো বড়ো কথা বললে হবে না। দানার সব সার্ভে হয়ে গেছে? সারা বছরই তো ইলেকশন। তাহলে তো কাজ হবে না।’’
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘কৃষক বন্ধু ২৪-২৫ রবি মরসুম এর জন্য ১ কোটি ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার কৃষককে মোট ২৯৪৩ কোটি টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল। আগামীকাল থেকে টাকা যাবে। এই বছর মোট ৫২৮৯ কোটি টাকার সহায়তা দেওয়া হল। টাকাটা সম্পূর্ণ রাজ্যের। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কোনও টাকা নেই।’’