করোনায় আক্রান্ত যুবকের মা স্বরাষ্ট্র দফতরের বড় কর্তা। তাঁর স্বামী শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ। নামী চিকিৎসক। এরকম পরিবার কীভাবে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করল? উঠছে প্রশ্ন। আমলার ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ নবান্নের শীর্ষ মহল। খোদ মুখ্যমন্ত্রীও এদিন নাম না করে ওই আমলা ও তাঁর ছেলেকে ভর্ৎসনা করেন ৷ বলেন, ‘বারবার বলা হচ্ছে বিদেশ থেকে এলে পরীক্ষা করান ৷ প্রয়োজনে হোম আইসোলেশনে থাকুন ৷ ১৫-২৭ দিন আইসোলেশনে থাকা উচিত ৷ নিয়ম সবার জন্য প্রযোজ্য ৷ দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়ে ঘুরে আরও কত লোকের সংস্পর্শে এসেছে ৷’
advertisement
প্রসঙ্গত, তিন দিন শহর ঘুরে শেষে বেলেঘাটা ID তে ভর্তি পদস্থ আমলার ছেলে। আইসোলেশনে তরুণের পরিবারও। শহরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় স্বাস্থ্য দফতর। নজরে আক্রান্তের তিন দিনের গতিবিধি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে শহর চষে বেরিয়েছিলেন রাজ্যের পদস্থ আমলার ওই ছেলে। ১৫ তারিখ শহরে ফিরে এয়ারপোর্টে পরীক্ষার পর তাঁকে বেলেঘাটা ID-তে পাঠান হয় কিস্তু তিনি সেখানে ভর্তি হননি৷ শরীরে সংক্রমণ নিয়েই রবিবার দক্ষিণ কলকাতার শপিং মলে ঘোরেন তরুণ৷ পরে সোমবার মায়ের প্রভাব খাটিয়ে তিনি যান টালিগঞ্জের এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ৷ চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করে বেলেঘাটা ID তে ভর্তি হতে বলেন কিন্তু কোনও গুরুত্বই দেননি আমলার ছেলে। সোমবার মধ্য কলকাতার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়ান ওই তরুণ। এয়ারপোর্ট থেকে বেলেঘাটা আইডি-সেখান থেকে বাড়ি-শপিং মল-উত্তর কলকাতা। শরীরে সংক্রমণ নিয়েই শহর ঘুরে বেড়িয়েছেন তরুণ। এখানেই শেষ নয়। ছেলের শারীরিক অবস্থার কথা জেনে, সংক্রমণের আশঙ্কা থাকা সত্বেও, নবান্নে পৌঁছে গিয়েছেন তরুণের মা, যিনি স্বরাষ্ট্র দফতরের ওই আমলা। স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরেও যান ওই মহিলা ৷ এমনকি মহাকরণেও গিয়েছিলেন ৷
রবিবার থেকে মঙ্গলবার। করোনায় আক্রান্ত তরুণ ও তাঁর মা তিন দিন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়েছিলেন। এখানেই সংক্রমণ ছড়ানোর বড় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ৷