মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘একই স্যালাইনে তো অন্য জায়গায় কিছু হয়নি। এখানে গাফিলতি হয়েছে, এমএসভিপি বা হেড অফ ডিপার্টমেন্ট কোথায়? সরকার কি স্যান্ডুইচ হবে নাকি সঠিক তথ্য দেবে। যা ঘটেছে তাই বলেছি।’’
আরও পড়ুন: ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা? চিবিয়ে খান এই একটি পাতা, ম্যাজিকের মতো কমবে! বাড়তি পাওনা হজম বৃদ্ধি
advertisement
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন ‘‘সিনিয়র চিকিৎসকরা নিজেদের দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করলে প্রসূতি এবং সদ্যোজাতদের এই পরিণতি হত না৷’’ সেইসঙ্গে তিনি ঘটনায় ‘অন্য কাহিনীর’ ইঙ্গিতও দেখছেন বলে জানালেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর জানালেন, ‘‘সিনিয়র চিকিৎসক ও সিআইডি রিপোর্ট মিলে গিয়েছে। মানুষ জানতে চায় আমরা কী ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এই স্যালাইন অনেক রাজ্যে এখনও চলছে। এর মধ্যে অন্য কাহিনী থাকতে পারে। সেই কাহিনীতে আমরা যাব না। আমরা আবার পরীক্ষা করছি। ভাল বিকল্পের সন্ধান করেছি।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন প্যান্টের কোন পকেটে রাখছেন? সাবধান, ভুল জায়গায় রাখলেই বোমের মতো ফেটে যাবে! এখনই জানুন
পাশপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘কোনও এক পপুলার হাসপাতালে এক এডিটর নিউজ হাউজের ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসক যোগী ও সিনিয়র এক ডাক্তার দেখছিলেন। আমি দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে গলায় তিন জন স্টেথো ঝুলিয়ে এসে তাকে বললেন আরে আপনার ক্রিয়েটিনিন হাই, আপনাকে ডায়ালিসিস করতে হবে। সব না জেনে কমেন্টস করা, ফাইলে লেখা, যে রোগী ভাল হয়ে যাচ্ছিল, তাকে আবার ধাক্কা দেওয়া। সিনিয়র বা হেড অফ ডিপার্টমেন্ট ট্রেনিদের নিয়ে যাবে সঙ্গে করে।’’
চিকিত্সার সামগ্রিক অবনতির জন্য পরীক্ষা ব্যবস্থাকেও কাঠগড়ায় তুললেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘ বাংলার বদনাম করা হয়। বলা হয় তুলো ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না। অবনতি কেন হচ্ছে? তার জন্য আমরা দায়ী নই। এক্সাম দায়ী। সেটা আমরা করিনা। এক্সাম সিস্টেম সঠিক ভাবে চিকিৎসক তৈরি করার কাজ করা হবে।’’