এদিন নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তিনি বলেন, ‘আগামী ২ সপ্তাহ রাজ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ৷এটাই পরীক্ষা দেওয়ার সময় ৷ দয়া করে সরকারের নির্দেশ মানুন ৷ এখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আড্ডা বন্ধ করুন ৷ রাস্তায় ভিড় জমিয়ে গল্প করার বহু সুযোগ পাবেন ৷’ এখানেই শেষ নয়, রাজ্যের মানুষের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর কাতর আর্জি, ‘আপনাদের হাত জোড় করে পায়ে পড়ে বলছি লকডাউন মানুন ৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে ৷ নইলে আমরা না হলে স্টেজ থ্রি-তে চলে যাব ৷’
advertisement
আগামী দু-সপ্তাহেই করোনা যুদ্ধের ভাগ্য নির্ধারণ। রাজ্যবাসীকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে আবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আর্জি, রাস্তায় আড্ডা নয়। লক-ডাউন মানতেই হবে। করোনায় থ্রেজ থ্রি’তে যাওয়া আটকাতেই হবে। আগামী দু-সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। করোনা সংক্রমণ কোন দিকে গড়াচ্ছে, এই দু-সপ্তাহে সেটাই নির্ধারিত হতে চলেছে।
রাজ্যে মোকাবিলায় ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজ্য? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যে ৩১ জন করোনা আক্রান্ত ৷ করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৩ জন ৷ রাজ্যে করোনায় মৃত ৩ ৷’
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। অথচ তারই মধ্যে লকডাউন উপেক্ষা করে রাস্তায় রাস্তায় ভিড় ৷ সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবে লকডাউনেও বেশ কিছু ছাড় দিয়েছে রাজ্য। তারপরও মানুষের সচেতনার অভাব স্পষ্ট। এনিয়ে ক্ষোভ গোপন রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, ‘এত ছাড় তো হল, তারপরও মানছেন না কেন?’
করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। তথ্য দিয়ে এদিনের বৈঠকে তা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী । তিনি বলেন, ‘ করোনা মোকাবিলায় ১ লক্ষ ১১ হাজার ৩৯৪ PPE দিয়েছি ৷ ৪২ হাজার ২৯৬ N95 মাস্ক দিয়েছি ৷ ৩ হাজার ২০০ থার্মাল গান দিয়েছি ৷ বাংলা থেকে ৭১ জন নিজামুদ্দিনে যান ৷ তার মধ্যে ৫৪ জনকে কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়েছে ৷’