আগামী বছরের শুরুতেই মেঘালয় বিধানসভার নির্বাচনেও অংশ নেবে বাংলার শাসকদল। এরই মধ্যে আগামিকাল, মঙ্গলবার মেঘালয়ের শিলংয়ে কর্মীসভা করবেন তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে শিলংয়ে সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে এই জনসভা হবে।
advertisement
মেঘালয়ের বিশ্বাস জিততে অভিষেক জানিয়েছিলেন, “মেঘালয়, দিল্লি বা গুয়াহাটির সামনে মাথা নীচু করবে না। উত্তর-পূর্ব ভারত ভগবানের, শান্তির, সম্প্রীতির। বিজেপির একাধিক বড় বড় নেতা এসেছিলেন বাংলায়। আমরা তাঁদের জায়গা কোথায় তা দেখিয়ে দিয়েছি।” মেঘালয়ে তৃণমূল যে ‘বহিরাগত’ নয় তা প্রমাণ করতে অভিষেক জানিয়েছেন, তৃণমূল জিতলেও মেঘালয়কে বাংলা শাসন করবে না। এখানের অধিবাসী খাসি, গারো, জয়ন্তিয়ারাই থাকবেন কারণ মুকুল সাংমা-সহ বিধায়করা এখানেরই স্থানীয় বাসিন্দা।
অভিষেক আরও জানিয়েছিলেন, “এটা একমাত্র রাজ্য যেখানে কংগ্রেস-বিজেপিকে, বিজেপি-কংগ্রেসকে সমর্থন করে। আমি মুকুল সাংমাকে ধন্যবাদ দেব যে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসকে বেছে নিয়েছেন। আমার অনুরোধ, বিজেপিকে ওদের পথ দেখিয়ে দিন। সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে সেই পূর্ব দিক থেকেই।’’
রাজনৈতিক মহলের মতে, শুধুমাত্র ২০২৩-এর বিধানসভা নয়, বরং ২০২৪-এর লোকসভার জন্যও মেঘালয়কে টার্গেট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই দলের পক্ষ থেকে সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালু করা হয়েছে। যা যা ঘোষণা বা বক্তব্য তিনি শিলংয়ে রেখেছিলেন তা রাজনৈতিকভাবে বাস্তবিক রূপ দেওয়ার জন্য মেঘালয়কে দিল্লির সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। সূত্রের খবর, কর্মীসভার আগে বা পরে চার্চে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলবেন সেখানে গিয়ে ৷ পশ্চিম গারো পাহাড়ে আদিবাসী ভোট ফ্যাক্টর। সেখানকার জনজাতিদের নানা অভাব অসুবিধাকে তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷