মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা খুশি যে অনেক সময়ে অনেক কিছু বলে বিজিবিএস (বেঙ্গল বিজনেস সামিট)-এ যা বলে তাতে কাজ হয় না নাকি, বাংলার সৌভাগ্য এখন শিল্প পতিদের বাংলায় ইন্ডাস্ট্রির জায়গা হয়েছে। আগামী ২১ তারিখ দুপুর ২ টো-তে জিন্দালদের পাওয়ার প্লান্ট উদ্বোধন করছি। এখন পাওয়ার এর চাহিদা অনেক বেড়েছে। গত ১১ বছরে পাওয়ারের গ্রোথ বেড়েছে ১১ পার্সেন্ট। দেউচা – পাচামি কোল প্লান্ট হয়ে গেলে ১০০ বছরের সমস্যা থাকবে না। তখন দাম ও কমে যাবে।’’
advertisement
তিনি জানালেন, ‘‘এখন তো একতরফা হয়ে যাচ্ছে। যত পাওয়ার প্লান্ট হবে তত দামে সামঞ্জস্য হবে। ৮০০ মেগাওয়াট করে দুটো পাওয়ার প্ল্যান্ট হবে। যেখানে জিন্দালরা ১৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে। আমরা ওদের লেটার অফ অ্যাওয়ার্ড দিয়ে দিয়েছি। পূর্ব ভারতে এই ধরণের প্লান্ট নেই। এটা একটা বড় সুখবর।’’
গরমে লোডশেডিংয়ের সমস্যার অভিযোগ প্রায়ই উঠে আসে। তৃণমূল সরকারে বিরুদ্ধে ইলেকট্রিসিটির সমস্যা নিয়ে শোনা গিয়েছে ক্ষোভ। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, ‘‘ সারা বাংলা জুড়ে অনেক পাওয়ার প্লান্ট হচ্ছে। আগে বারবার শুনতাম লোডশেডিং এর সরকার আর নেই দরকার। এখন কিন্তু সেই দিন নেই। আমাদের ও কিন্তু ভর্তুকি দিতে হয়। কেউ যাতে শিল্প গড়তে সমস্যায় না পড়ে তার জন্য এই প্রজেক্টগুলো নিয়েছি। ২২ তারিখ বেলা ১২. ৩০ গড়বেতায় একটি সোলার পাওয়ার প্লান্ট তৈরী করছি। এটা গ্রীন প্রজেক্ট। একটা জার্মান কোম্পানি ৮০ শতাংশ টাকা খরচ করছে। বাকি ২০ শতাংশ টাকা রাজ্য দেবে।’’
বাংলার একাধিক জায়গায় তৈরি হবে নতুন ফায়ার ব্রিগেডও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ‘‘ ২২ তারিখে মেদিনীপুর শহর থেকে ২৫ টি ফায়ার ব্রিগেডের উদ্বোধন করব। তার মধ্যে ১৫ টা দীঘায় চলে যাবে। কাটোয়াতেও ফায়ার স্টেশন উদ্বোধন করা হবে।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের উদ্বোধন ওই কেন্দ্রে গিয়ে করব। দেউচা-পাচামি এর উদ্বোধন করা বাকি আছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর কাজ চলুক, পরে উদ্বোধন করব। দেউচা -পাচামি এর জন্য যারা জমি দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ। আগামী দিনে যে গ্রামগুলো জমি দেবে তাদের আমরা চাকরি ও দেব, ক্ষতিপূরণ দেব। সময়মাফিক আমরা বলে দেব আমরা কী করছি।