মঙ্গলবার দুপুরে শৌচাগার থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয় ৷ ঘটনার তদন্তে নেমেছে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ ৷ পুলিশের কাছে ওই ছাত্রীর অভিযোগ, তাকে কেউ ভালোবাসে না, সে কারণেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে সে ৷
গত শুক্রবার একই ভাবে কৃতিকাও স্কুলের শৌচাগারে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করেছিল ৷ ৩ পাতার সুইসাইড নোটের বড় অংশ জুড়েই বাবা-মায়ের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্রী। নোটের প্রথম দু-পাতার লেখা ঝরঝরে। নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে কৃতিকা লেখে, ‘আমি চাই না তোমরা আমাকে বাঁচাও। তোমরা আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করো না। আমি তোমাদের দেখতে চাই না। আমি না থাকলে কোনও ক্ষতি নেই। আমি তিন মাস ঘুমোতে পারিনি। সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি ভুলতে পারিনি ৷ আমি ছোটবেলাতেই মরতে চেয়েছিলাম। তবে এভাবে মৃত্যু চাইনি ৷’ অনেক দূর পর্যন্ত ভেবেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত, তাও সুইসাইড নোটে স্পষ্ট। কৃতিকা লেখে, ‘মৃত্যুর পর আমায় নিয়ে মিডিয়ায় চর্চা হবে। পুলিশও চর্চা করবে। আমি আত্মহত্যা করেছি। আত্মহত্যার কথা বিশ্বাস না হলে ভেব খুন ৷’ প্রশ্ন উঠছে, কোন ভয়ঙ্কর ঘটনার স্মৃতি তাড়া করছিল কৃতিকাকে? সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে এবং কৃতিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
advertisement